আভা ডেস্ক : ওয়াসার পানি নয়, হালিশহর এলাকার বাসা-বাড়ির রিজার্ভ ট্যাংকির পানিতে জীবাণু পেয়েছে তদন্ত কমিটি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন। মেয়র বলেন, ওয়াসার পানি থেকে নগরের হালিশহর এলাকায় জন্ডিস জীবাণু ছড়ায়নি। বাসা-বাড়ির রিজার্ভ ট্যাংকির ট্যাপের পানিতেই জীবাণু রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন
সম্প্রতি হালিশহর এলাকায় ই-ভাইরাসের কারণে জন্ডিসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এ ঘটনায় গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এর আগে গত ২৮ জুন মেয়রের উদ্যোগে সিটি করপোরেশন, ওয়াসা ও সিভিল সার্জন অফিসের ত্রিপক্ষীয় একটি বৈঠকে তিন সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মাধ্যমে গঠিত তদন্ত কর্মকর্তারা হালিশহর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ওয়াসার পানির নমুনা সংগ্রহ করেছেন। নমুনাগুলো বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্সে (বিসিএসআইআরে) পাঠানো হয়েছিল। পানি পরীক্ষা করে ওয়াসার পানিতে কোনও জীবাণু পাওয়া যায়নি। তবে ওই এলাকার বাসা-বাড়ির রিজার্ভ ট্যাংকির পানিতে দূষণ পাওয়া গেছে।’
মেয়র আরও বলেন, তদন্ত কর্মকর্তারা বিভিন্ন বাসার রিজার্ভ ট্যাংকির পানি ও ট্যাপের পানির নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। নমুনাগুলো পরীক্ষা করে রিজার্ভ ট্যাংকি ও ট্যাপের পানিতে জীবাণু পাওয়া গেছে। রিজার্ভ ট্যাংকির পানিতে ১১০০ এককের বেশি ক্লোরোফর্ম পাওয়া যায়। ওই পানিতে ডায়রিয়া ও কলেরা রোগের জীবাণু ‘ই-কোলি’ ভাইরাস পাওয়া গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, তদন্ত কমিটির সদস্য ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ুন কবির ও ওয়াসার সহকারী প্রকৌশলী ইফতেখার উল্যাহ মামুন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা ট্রিবিউন