ছবি তোলার অপরাধে সাংবাদিক গ্রেফতার, অত:পর মুক্তি

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজশাহী আদালত চত্বরে অভিযান পরিচালনা করেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (আরএমপি ডিবি)। অভিযানে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেন ডিবি পুলিশের ওই অভিযানকারী দল। সে সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা গ্রেফতারকৃত ছবি তুলতে গেলে তাঁদেরকেও লাঞ্চিত করে আটক করেন ডিবি পুলিশ। আটক সাংবাদিকরা হলেন, রাজশাহীর বহুল প্রচলিত দৈনিক সানশাইন পত্রিকার কোর্ট প্রতিনিধি ও রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সদস্য রহমতুল্লাহ, জাতীয় দৈনিক বর্তমান পত্রিকার আজগর আলী সাগর, দোয়েল টিভি’র সুমন।
এডিসি রুহুল আমিনের নেতৃত্বে আদালত চত্বরে ডিবি পুলিশের অভিযান পরিচালিত হয়। ছবি তোলার অভিযোগে এডিসি রুহুল আমিনের নির্দেশে সাংবাদিকদের আটক করা হয়।


২২ এপ্রিল (সোমবার) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উক্ত ঘটনা ঘটে।
পরে অন্যান্য সাংবাদিকরা বিষয়টি জানতে পারলে তাঁরা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা সে সময় কথা বলতে চাইলে এডিসি রুহুল আমিন তাঁদের সঙ্গেও খারাপ আচারণ করেন। বিষয়টি জানাতে গোয়েন্দা পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার আরিফুল হককে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বাধ্য হয়ে সকল সাংবাদিক ডিবি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি দিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন। প্রায় ১ ঘন্টা পরে এডিসি রুহুল আমিন সাংবাদিকদের সামনে এসে ভুলবোঝাবুঝি বলে ওই আটক তিন সাংবাদিককে ছেড়ে দেন। তিনি এ ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করেন।
আটক সাংবাদিকরা বের হয়ে বলেন, তাঁরা পেশাগত কাজ করতে গিয়ে ডিবি পুলিশের রোষানলে পড়েন। ছবি তোলায় তাদের অপরাধ বলে তাদের গালাগালি ও মারধার করে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পেশাগত কাজে বাধা প্রদানসহ ওই পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তি দাবি করেন তারা।
এডিসি রুহুল আমিন বলেন, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় তাদের আটক করা হয়েছে। ছবি তোলা মানেই সরকারি কাজে বাধা প্রদান। এসময় তিনি সাংবাদিকরা আইডি কার্ড দেখাতে পারেননি বলে অভিযোগ তুলেন। প্রকৃত পক্ষে আটক সকল সাংবাদিকদের কাছে কার্ড ছিলো। তবুও ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি তাঁদের গ্রেফতার করেছেন বলে অভিমত সাংবাদিক সমাজের। ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচিস্থলে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাব ও রাজশাহী অনলাইন সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ।
এসময় সাংবাদিক নেতারা বলেন, এডিসি রুহুল সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। এক মাঘেও শীত যায় না বলেও তিনি হুশিয়ারি দেন। তাঁর বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিকভাবে আলোচনা করে উর্ধতন কর্মকর্তাদের লিখিত অভিযোগ প্রদান করবো। এছাড়াও গোয়েন্দা বিভাগের অপকর্ম আমরা এখন থেকে তুলে ধরবো। তাঁরা কোথায় থেকে মাসোহারা নেয় সেটা আমাদের সকলের জানা বলে উল্লেখ্য করেন নেতারা।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই আটক বানিজ্যের শীর্ষে আছেন রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। আটকের পর কেউ ডিবি অফিসে প্রবেশ করতে পারে না। গণমাধ্যম কর্মীসহ সকলের প্রবেশ নিষেধ ডিবি কার্যালয়ে। আরএমপিতে দীর্ঘদিন যাবৎ কর্মরত ও সমালচিত কিছু এসআই, পরিদর্শক মিলে মাসোহারা বানিজ্যে লিপ্ত তাঁরা। প্রতিটি মাদক স্পর্ট, দেহ ব্যবসার আবাসিক হোটেল, জুয়ার আসর থেকে মাসোহারা উত্তোলন করছেন কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা।

Next Post

গোদাগাড়ীতে মাদক মামলা দেওয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার

মঙ্গল এপ্রিল ২৩ , ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ৮০ গ্রাম হেরোইনসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেন গোদাগাড়ী থানা পুলিশ। আটকের পর থেকে মাদক কারবারিদের রোষানলে পড়েন থানা পুলিশ। মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তিকর পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছেন চক্রটি। প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে মাদক কারবারিদের বাঁচাতে মরিয়া চক্রটি। এ ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links