আভা ডেস্কঃ বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা নেল-সন ম্যান্ডেলার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় আবার বর্ণবাদের আনাগোনা শুনা যাচ্ছে।
অভিবাসন আইন সংশোধনের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা স্বাধীনতার পর থেকে ২৬ বছর পরে তাদের বর্ণবাদী চেহারা ফুটিয়ে তুলেছে।
১ জানুয়ারি থেকে অভিবাসন আইন সংশোধনের মাধ্যমে অভিবাসীদের অধিকার হরণ করেছে বর্তমান এএনসি সরকার এমন অভিযোগ এখন মানবাধিকার সংস্থাসহ অভিবাসী সংঘটনের নেতাদের।
অভিবাসন আইন সংশোধনের মাধ্যমে চলতি মাস থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসরত ২৬ লাখ বৈধ ও ১০ লাখেরও বেশি অবৈধ অভিবাসীদের অধিকারকে সংকুচিত এবং আশ্রয়ের মর্যাদাগুলি ছিনিয়েছে সরকার।
নতুন সংশোধিত আইন অনুযায়ী কোন অভিবাসী দক্ষিণে প্রবেশ করলেই সীমান্তে দায়িত্ব নিয়োজিত ইমিগ্রেশনের কাছে বায়োমেট্রিকসসহ সকল প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে হবে।
এছাড়া যেসব অভিবাসী তাদের দেশ ছেড়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় আশ্রয় নেয়ার সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক কারণ দেখাতে ব্যর্থ হবে তাদেরকে নির্দিষ্ট একটি সময়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসের সুযোগ দেয়া হবে। এরপর স্বদেশে ফেরত যেতে হবে।
এছাড়া আশ্রয় নেয়া কোনো অভিবাসী দক্ষিণ আফ্রিকায় কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারবেনা।
এসব বেশ কয়েকটি ধারা সংযোজন করে অভিবাসন আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করলে অভিবাসী নেতারা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ সংশোধিত আইনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করার হুমকি দিয়েছে এবং আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন শহরে অভিবাসীরা এ আইনের বিরুদ্ধে সভাসমাবেশ করেছে।
শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের প্রতিনিধিরা বলেছেন, তারা দক্ষিণ আফ্রিকার সংবিধানের আওতাধীন বাকস্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের সীমাবদ্ধতার বিষয়ে নতুন আইনকে চ্যালেঞ্জ জানাতে আদালতে যাবেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা মানবাধিকার কমিশন সংশোধিত অভিবাসী আইনের কারণে অভিবাসীদের মানবাধিকার হরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এবং সরকারকে সংশোধিত আইনটি পরিবর্তনের আহ্বান জানান। অপরদিকে অভিবাসন আইনটি সংশোধিত হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসকারী সাড়ে তিনলক্ষ বাংলাদেশি নাগরিক আতংকিত হয়ে পড়েছে এবং আইনটি কার্যকরের পর থেকে চলতি সপ্তাহে অন্তত ১শ বাংলাদেশি নাগরিক ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন।
তবে সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে,অভিবাসীদের সঠিক পরিসংখ্যান নির্ধারণ করতে এবং অভিবাসীদের নিরাপত্তা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে এ আইন সংশোধন করা হয়েছে।
যুগান্তর