আভা ডেস্ক : খাবার ও ওষুধ সংকটের কারণে ভেনিজুয়েলা ছাড়ছে হাজার হাজার নাগরিক। এরই মধ্যে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করে প্রতিবেশী দুই দেশ। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বলছে, প্রায় ২৩ লাখ ভেনিজুয়েলার বাসিন্দা বিদেশে বসবাস করছেন। তাদের মধ্যে বিপর্যস্ত অর্থনীতির কারণে ২০১৫ সালে দেশ ছেড়ে প্রায় ১৬ লাখ নাগরিক। জাতিসংঘ বলছে, ইকুয়েডর, পেরু, কলম্বিয়া ও ব্রাজিলে প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার ভেনিজুয়েলার বাসিন্দা পাড়ি জমাচ্ছেন। এরই মধ্যে কলম্বিয়া প্রায় ৮ লাখ ৭০ হাজার ভেনিজুয়েলানদের অস্থায়ী আশ্রয় দিয়েছে। প্রতিদিনই টাম্বিস পয়েন্ট দিয়ে প্রায় ৩ হাজার ভেনিজুয়েলাবাসী পেরুতে প্রবেশ করেছে।
চলমান এ সংকট নিয়ে সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আমেরিকার ১৩ জাতির আঞ্চলিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বরের এ সম্মেলনের আয়োজন করবে ইকুয়েডর। এ সম্মেলনে যোগ দেবে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, চিলি, মেক্সিকো, পেরু, প্যারাগুয়ে, পানামা, ডমিনিকান রিপাবলিক, উরুগুয়ে ও ভেনিজুয়েলা। এদিকে নতুন আইন ঘোষণার পর থেকে পেরুতে মানসিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করছে হাজার হাজার ভেনিজুয়েলার নাগরিক। অভিবাসী ঠেকাতে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এসব আবেদন জমা পড়ছে বলে জানিয়েছেন পেরুর এক সরকারি কর্মকর্তা। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন পেরুতে প্রবেশ করতে ভেনিজুয়েলানদের কাছে পাসপোর্ট থাকতে হবে। আগে শুধু একটি পরিচয়পত্র থাকলেই চলত। গত সপ্তাহে একই নিয়ম চালু করে ইকুয়েডর। খবর বিবিসি ও এএফপির।
নতুন পাসপোর্ট আইনের জন্য শুক্রবার সময়সীমা বেঁধে দেয় লিমা কর্তৃপক্ষ। বেঁধে দেয়া সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার পর নতুন নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে। অনেক ভেনিজুয়েলাবাসী ইকুয়েডর ও কলম্বিয়া পাড়ি দিয়ে পেরুতে নতুন জীবন শুরু করতে চাইছেন। দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি পেরুতে স্থায়ী হতে চান অনেকে। শুক্রবার পেরুর সীমান্তে দ্রুত পৌঁছতে ভেনিজুয়েলার নাগরিকদের বাস সরবরাহ করে ইকুয়েডর। এটিকে ‘মানবিক করিডোর’ আখ্যা দেয় ইকুয়েডর।