আভা ডেস্ক : টাকায় টাকায় খেই তুলে তৈরি হচ্ছে হ্যান্ডব্যাগ, ওয়ালেট বা পার্স, ভেনেটি ব্যাগ। রঙ-বেরংয়ের ছোট-বড় নোটে এসব পণ্যের কারুকাজও হয়ে উঠছে নান্দনিক। কেউ আবার টাকাকে বানাচ্ছেন ক্যানভাস। টাকার ওপরেই আঁকছেন ছবি। ভেনেজুয়েলার মুদ্রা বলিভারের দাম পড়ে যাওয়ার ক্ষোবে-দুঃখে, টাকা এই তামাসা শুরু করেছেন দেশটির রসিক নাগরিকরা। আবার একে তামাসা না বলে টাকা বেচে টাকা আয়ের উপায়ও বলা যেতে পারে। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল ও জার্মান দৈনিক ডয়েচে ভেলের খরচে বলা হয়, বলিভারের তুলনায় ডলারের মান বেশি। এজন্য ডলার আয় করতে অভিনব এমন ব্যবসায় নেমেছেন দেশটির সৌখিন নাগরিকরা। একটি ভেনেটি ব্যাগ বানাতে খরচ হচ্ছে ৮০০টি বলিভার। প্রতিটি ১০০ বলিভারের মুদ্রা হলে এর মুল্যমান দাঁড়ায় ৮০ হাজার বলিভার। ভেনেটি ব্যাগটি বিক্রি হচ্ছে ১০ ডলারে। বলিভার মুদ্রায় এটির মুল্য দাঁড়ায় ২৪ লাখ বলিভার (১ ডলার সমান ২ লাখ ৪৮ হাজার বলিভার)। যা দিয়ে অন্তত এক টুকরা রুটি ও কিছু সবজি কেনা যাবে। এক বেলার খরচ জোটানো যাবে। কিন্তু ৮০ হাজার বলিভার মুদ্রায় কেনার মত কিছু নেই। এক রোল টয়লেট পেপারের মুল্য ২৬ লাখ বলিভার। ব্যাগ, হ্যাট ও ঝুড়িও বানাচ্ছেন অনেকে। মুদ্রা দিয়ে ব্যবহার্য বহু কিছু পণ্য বানানো হচ্ছে। যা দিয়ে ডলার আয় হচ্ছে। রাজোস নামের একজন বলেন, কোন অর্থমুল্য না থাকায় বিরক্ত হয়ে এসব অর্থ ডাস্টবিন কিংবা ময়লা রাখার ঝুড়িতে ফেলে দিচ্ছে লোকজন। ফলে টাকা এখন শহর গ্রামের অলিতে-গলিতে পড়ে থাকছে।
টাকার ওপর ছবি আঁকিয়ে আরও অধিক ডলার আয় করছেন ভেনেজুয়েলার শিল্পী জোস লুইস লিওন। তিনি একটি ১০০, ১০ হাজার বা ২০ হাজার বলিভার মুদ্রাকে শিল্পে পরিণত করে সেটি বিক্রি করছেন ১০০ ডলারে। যার মুল্যমান দাঁড়ায় ২ কোটি ৪৮ লাখ। এসব নকশা বিদেশের বাজারে চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু ভেনেজুয়েলার বাজারের টাকার তৈরি এসব শিল্পের মুল্য ২ ডলার থেকে ২০ ডলার পর্যন্ত। টাকার তৈরি এসব শিল্প নিয়ে কারাকাসের আর্ট গ্যালারিতে প্রদর্শনি করার চিন্তা রয়েছে লুইসের।