Ava Desk: রোহিঙ্গাদের ওপর ‘গণহত্যা’, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ ও ‘যুদ্ধাপরাধ’—সবই করেছে মিয়ানমার বাহিনী। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর (তাতমাদো) সর্বাধিনায়ক ও সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংসহ ছয় জেনারেল। আর গণতন্ত্রের নেত্রী হিসেবে পরিচিত মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি ছিলেন নীরব। দীর্ঘ তদন্ত শেষে জাতিসংঘের ‘ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং মিশন’ (সত্যানুসন্ধানী দল) গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেছে।
কম করে হলেও ১০ হাজার রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছয় জেনারেলসহ মিয়ানমার বাহিনীর এসব অপরাধের তদন্ত ও বিচার হওয়া প্রয়োজন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমার বাহিনী শুধু রাখাইনে নয়, শান ও কাচিনেও গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সদস্যদের ওপর অধিনায়কদের কর্তৃত্ব নেই এমনটি মনে করার কোনো কারণ নেই। বরং অধিনায়কদের নেতৃত্বে ও নির্দেশেই এসব অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। মিয়ানমার সরকারকে এসব অপরাধ থেকে জনগণকে রক্ষা করার উদ্যোগ নিতে প্রতিবেদনে আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে গণহত্যায় নেতৃত্বদানকারী হিসেবে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং ছাড়াও উপসর্বাধিনায়ক ভাইস সিনিয়র জেনারেল সো উইন, স্পেশাল অপারেশন ব্যুরো-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল অং কিয়াও জাও, পশ্চিমাঞ্চলীয় আঞ্চলিক সামরিক কমান্ডের অধিনায়ক মেজর জেনারেল মং মং সোয়ে, ৩৩ লাইট ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অং অং এবং ৯৯ লাইট ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থান ওর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে (আইসিসি) বা অন্য কোনো ট্রাইব্যুনাল গঠন করে তাদের অপরাধের তদন্ত ও বিচার করার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
জেনেভায় গতকাল দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করার পর পরই বিশ্বব্যাপী সংবাদমাধ্যমে এটি বেশ গুরুত্ব পায়। সত্যানুসন্ধানী দলের প্রতিবেদন সম্পর্কে সিএনএনের সরাসরি সম্প্রচারে এর সংবাদদাতা ও বিশ্লেষক আলেকজান্দ্রা ফিল্ড বলেন, “এগুলো (গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ) অবিশ্বাস্য রকম কঠোর শব্দ। আগে আমরা জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের ‘আক্ষরিক অর্থেই জাতিগত নির্মূল’ বলতে শুনেছি। এখন আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে শুনছি, সত্যানুসন্ধানী দল বলছে, শীর্ষ জেনারেলদের বিরুদ্ধে গণহত্যার তদন্ত ও বিচার হতে হবে। যাঁরা মনে করতেন যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ন্যায়বিচার পাচ্ছে না, নিশ্চিতভাবে এটি তাঁদের জন্য অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক একটি প্রতিবেদন।” তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনে বেশ কিছু সুপারিশ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে (আইসিসি) মিয়ানমারের বিচার করা বা বিচারের জন্য আলাদা একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা।’
ব্রিটিশ দৈনিক দি ইনডিপেনডেন্ট এক টুইট বার্তায় ব্রেকিং নিউজ হিসেবে জানায়, ‘প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে।’
এদিকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ দপ্তরের এশিয়াবিষয়ক মন্ত্রী মার্ক ফিল্ড গতকাল এক বিবৃতিতে সত্যানুসন্ধানী দলকে এ প্রতিবেদনের জন্য প্রশংসা করে বলেন, প্রতিবেদনে ভয়ংকর অপরাধের তথ্য থাকলেও এ নিয়ে বিস্মিত হওয়ার কারণ নেই। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিবেদনের ভয়াবহতা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদ—উভয়েরই দৃষ্টি আকর্ষণের দাবি রাখে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
অন্যদিকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট গত রাতে এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি পড়ে অত্যন্ত বেদনাহত হয়েছি। এ ধরনের নৃশংসতা যারা চালিয়েছে তাদের কখনোই লুকিয়ে থাকার সুযোগ দেওয়া হবে না। শিগগিরই আমি বার্মায় (মিয়ানমার) গিয়ে জবাব চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে গত রাতে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা সত্যানুসন্ধানী দলের প্রতিবেদনে জাতিসংঘের নীরব কূটনীতি ব্যর্থ হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফান ডুজারিক বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসসহ পুরো সংস্থা এ প্রতিবেদনকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে। আজ মঙ্গলবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গা ইস্যুতে বক্তব্য দিবেন। মুখপাত্র বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব গণহত্যাকে ‘গণহত্যা’ বলতে লজ্জিত নন। অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করার কোনো বিকল্প নেই।
ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, এই প্রতিবেদন বিশ্বকে মিয়ানমারের দিকে চোখ মেলে তাকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গত বছরের মার্চ মাসে এই সত্যানুসন্ধানী দল গঠন করার প্রস্তাবে চীন, রাশিয়াসহ হাতে গোনা কয়েকটি দেশ ছাড়া সবাই সমর্থন করেছিল। ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রিয়ার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গড়া এই দলের প্রতি বড় ধরনের বৈশ্বিক আস্থা আছে। বাংলাদেশ এই দলকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়েছে।
এক কূটনীতিক বলেন, সত্যানুসন্ধানী দলের এই প্রতিবেদন রোহিঙ্গা গণহত্যার জবাবদিহি নিশ্চিত করার প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে। আজ মঙ্গলবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উন্মুক্ত আলোচনায় নিশ্চয়ই এই প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ আসবে। কোনো সন্দেহ নেই যে মিয়ানমার সরকার ও তার সামরিক বাহিনী এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর নতুন করে বড় ধরনের চাপে পড়েছে।
বিবিসি বলেছে, সত্যানুসন্ধানী দলের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে মিয়ানমারের ভূমিকার এযাবৎকালের সবচেয়ে কঠোর ভাষায় নিন্দা জানানো হয়েছে। মিয়ানমার বাহিনী বরাবরই বলে আসছে রাখাইন রাজ্যকে জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের ঝুঁকিমুক্ত করতে অভিযান চালানো হয়েছে। জাতিসংঘের সত্যানুসন্ধানী দল তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ‘সামরিক প্রয়োজনে নির্বিচারে হত্যা, গণধর্ষণ, শিশুদের ওপর হামলা এবং পুরো গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো বিষয় কখনো সমর্থনযোগ্য হতে পারে না।’
জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, সত্যানুসন্ধানী দলের প্রতিবেদনটি আরো বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত ও আইনি বিশ্লেষণসহ আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে উত্থাপন ও প্রকাশ করা হবে। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু উপগ্রহ-চিত্রেরও বিশ্লেষণ থাকবে।
ক্রমাগত অনুরোধ সত্ত্বেও মিয়ানমার সরকার এই সত্যানুসন্ধানী দলকে একবারের জন্যও তাদের দেশে ঢুকতে দেয়নি। পরে দলটি বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য সফর করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করেছে। মিয়ানমারে গণহত্যা ও নিপীড়নের শিকার, প্রত্যক্ষদর্শী অন্তত ৮৭৫ জনের বিস্তারিত সাক্ষাৎকার গ্রহণ ছাড়াও উপগ্রহ-চিত্র, বিশ্বাস্যযোগ্য দলিল, স্থিরচিত্র ও ভিডিও চিত্র সংগ্রহ করেছে দলটি। এ ছাড়া তারা যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, মনোবিজ্ঞান, সামরিক ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে যাচাই-বাছাই করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে।
সত্যানুসন্ধানী দলটি বলেছে, তাদের এসব তথ্য-উপাত্ত জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনারের দপ্তরের হেফাজতে থাকবে। আগামী দিনে অপরাধীদের জবাবদিহির প্রক্রিয়ায় সেগুলো ব্যবহার করা যাবে।
সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধীদের নাম প্রতিবেদনে উল্লেখ করার নজির খুব একটা দেখা যায় না। তবে এ প্রসঙ্গে সত্যানুসন্ধানী দলের অন্যতম সদস্য রাধিকা কুমারাস্বামী গতকাল জেনেভায় সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তাঁরা ওই জেনারেলদের অন্যায়ের অসংখ্য তথ্য-প্রমাণ পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সেনা সদস্যদের ওপর তাদের যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ ছিল। এ থেকে আমরা বুঝতে পারি, কে দায়ী।’ তিনি আরো বলেন, অন্য অপরাধীদের নামও জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনার জায়িদ রাদ আল হুসেইনকে দেওয়া হবে।
রাধিকা কুমারাস্বামী জোর দিয়ে বলেন, আরো অনেক ব্যক্তি আছে, যাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই তদন্ত হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার নীরবতার মাধ্যমে এ ভয়াবহ অপরাধ সংঘটনে ভূমিকা রেখেছে। স্টেট কাউন্সেলর সু চি সরকারপ্রধান হিসেবে বা নৈতিকতা কাজে লাগিয়ে এটি থামানোর চেষ্টা করেননি। মিয়ানমার বাহিনীর উদ্দেশ্যই ছিল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে শেষ করা। সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সত্যানুসন্ধানী দল মনে করে, মিয়ানমার সরকার তার সামরিক বাহিনীকে জবাবদিহির আওতায় আনবে এমনটি আশা করা যায় না। তাই এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সত্যানুসন্ধানী দলের সদস্য ক্রিস্টোফার সিডোটি বলেন, অর্ধশতক ধরে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নিপীড়ন এবং সামরিক অধিনায়ক ও সদস্যদের পুরোপুরি দায়মুক্তিকে আমলে নিলে দেশটিতে তাদের বিচার আশা করা কঠিন।
তবে দলের সভাপতি মারজুকি দারুসমান বিশ্বাস করেন, মিয়ানমারের জন্য আশা আছে। বিশেষ করে এ সত্যানুসন্ধানী দল গঠন করাই ছিল পরিবর্তনের প্রথম ধাপ। তিনি বলেন, ‘সত্য ছাড়া মিয়ানমার তার জনগণের জন্য স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারবে না।’ তিনি আরো বলেন, মিয়ানমারে গণতন্ত্রায়ণ মাত্র শুরু হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনে বর্ণিত ভয়াবহ অপরাধ যে মিয়ানমারের রাখাইন, কাচিন ও শান রাজ্যে সংঘটিত হচ্ছে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সত্যানুসন্ধানী দলের সদস্য ক্রিস্টোফার সিডোটি বলেন, ‘গণহত্যা কোনো ধোঁয়া নয় যে দেখা যায়। আমরা রাখাইনের যে চিত্র দেখেছি, তাতে আমাদের মনে আর কোনো সন্দেহ নেই। শীর্ষ সামরিক অধিনায়কদের অজান্তে এমনটি হতেই পারে না।’
ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানোর কথাও উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে। রাখাইনের একটি রাজনৈতিক দল হিটলারের উদাহরণ দিয়ে বলেছে, জাতিগোষ্ঠী ঠিক রাখতে অনেক সময় অমানবিক কাজ করতে হয়।
প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে মিয়ানমার বাহিনীর একটি প্রচারণারও উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। রাখাইনদের ‘ময়ূর’ এবং রোহিঙ্গাদের ‘কাক’ হিসেবে অভিহিত করে মিয়ানমার বাহিনী প্রচারণা চালিয়েছে যে কাক ময়ূরের সঙ্গে থাকলেও কখনো ময়ূর হতে পারে না।
কথিত রোহিঙ্গা জঙ্গিগোষ্ঠী আরসাও যুদ্ধাপরাধ করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, আরসা সন্দেহভাজন কিছু গুপ্তচরকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে তারা গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে এমন কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আরসা দমনের নামে মিয়ানমার বাহিনী নারী-শিশু-নির্বিশেষে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। পরিবারের অন্য সদস্যদের সামনে নারীদের গণধর্ষণসহ নানা ধরনের নির্যাতন করেছে। এর ফলে প্রাণ বাঁচাতে এক বছরে সাত লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। Jugantor