আভা ডেস্কঃ গত ৩ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সোমবার। তাপমাত্রার এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আজও অব্যাহত থাকবে। আপাতত শৈত্যপ্রবাহ বিদায় নিলেও বাংলাদেশের আবহাওয়া বিভাগ (বিএমডি) কাল-পরশু দু’দিনের জন্য দেশবাসীর জন্য দুঃসংবাদ দিয়েছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, বুধ-বৃহস্পতি সারা দেশেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। তখন শুরু হতে পারে শৈত্যপ্রবাহ।
সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সীতাকুণ্ডে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে। ওইদিন তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ফরিদপুরে ১০ দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ ক্রমেই প্রস্থান ঘটেছে শৈত্যপ্রবাহের। আজ তাপমাত্রার আরও উন্নতি হতে পারে।
বিএমডির আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক যুগান্তরকে বলেন, কুয়াশার প্রকোপ হ্রাস, আকাশে মেঘমালার সৃষ্টি এবং অন্যান্য কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রবণতা শুরু হয়েছে।
তাপমাত্রা এখন ১০ থেকে ২৫ ডিগ্রির মধ্যে থাকায় কিছুটা আরামবোধ হচ্ছে। তবে ২৫-২৬ ডিসেম্বরের দিকে প্রায় সারা দেশেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। তখন তাপমাত্রা ফের নিম্নমুখী হতে পারে। তখন কয়েকদিনের জন্য মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ১৭ ডিসেম্বর দেশে শীতের প্রকোপ শুরু হয়।
পরদিন শুরু হয় শৈত্যপ্রবাহ। সোমবার এই পরিস্থিতি কেটে যায়। এদিন ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার ছিল ১৬ দশমিক ৭।
শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোববার ছিল ১৩ ডিগ্রি। যুগান্তর প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, প্রায় সারা দেশেই শীতের প্রকোপ অব্যাহত আছে, সঙ্গে আছে ঘন কুয়াশা।
শীতিজনিত ঠাণ্ডায় রোগবালাইয়ের প্রকোপও বাড়ছে। রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, জন্ডিস, আমাশয়, চোখের প্রদাহ, চর্মরোগ এবং জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।
যুগান্তর