নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীতে কিছু কিছু স্থানে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান বা এনজিও থেকে মাঠ পর্যায়ে ঋণ বা কিস্তি উত্তোলনে মাঠে নেমে পড়েছে এনজিও কিস্তি উত্তোলন মাঠ কর্মীরা । এতে সমস্যায় পড়েছে মাঠ পর্যায়ে ঋণগ্রহিতারা । একে তো দীর্ঘদিনের কর্মবিরতি অপর দিকে বন্ধ নিজেদের অর্থনীতির চাকা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এমনব্যস্থায় বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে ঋণগ্রহিতারা । কিন্তু সরকারী নির্দেশনা আছে আগামী ৩০ জুনের আগে কোন এনজিও বা ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কিস্তি তুলতে পারবেন না । তবুও কিছু কিছু এনজিও মাঠে নামায় আবারও সতর্কতার বার্তা দিলেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক । তিনি সরকারী সেই নির্দেশনা কথা লিখে তার ফেইসবুক আইডিতে লিখেন “এনজিও থেকে গৃহীত ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি পরিশোধে কোনও ঋণ গ্রহিতাকে ৩০ জুন/২০ পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা যাবে না।“
সেই নির্দেশনায় চিঠিতে পরিষ্কার লিখা আছে, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান বা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে যাঁরা কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন না, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত তাঁদের খেলাপি গ্রাহক হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এমআরএ) থেকে সনদপ্রাপ্ত দেশের সব ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ প্রযোজ্য। এ নিয়ে গত ২২ মার্চ এমআরএ থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে সম্বোধন করে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ববাণিজ্যের পাশাপাশি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দেশের সার্বিক অর্থনীতির এ নেতিবাচক প্রভাবের ফলে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের ঋণগ্রহীতাদের ব্যবসা-বাণিজ্য তথা স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এমআরএ বিধিমালা, ২০১০–এর বিধি ৪৪ অনুসরণ করে বলা হয়েছে, ১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ঋণের শ্রেণিমান যা ছিল, ৩০ জুন পর্যন্ত ওই ঋণ তার চেয়ে বিরূপ মানে শ্রেণীকরণ করা যাবে না। ঋণের কিস্তি কেউ পরিশোধ করতে পারলে করবেন। তবে কেউ করতে না পারলে তাঁকে খেলাপি হিসেবে গণ্য করা যাবে না অন্তত ৩০ জুন পর্যন্ত।
এমআরএর তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭৫৮টি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান এমআরএ থেকে সনদ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে গ্রাহকেরা ঋণ নিয়েছেন প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা।