আভা ডেস্কঃ খেলায় জয়-পরাজয় থাকবেই। এটা মেনে নিয়েও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া সিরিজে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুনীল গাভাস্কার। ভারতের এই ক্রিকেট কিংবদন্তি বলছেন, ম্যাচ হারার আগেই হেরে বসেন কোহলিরা!
তো কোন জায়গাতে কোহলিদের লড়াকু মানসিকতার কমতি দেখছেন গাভাস্কার? এটার উদাহরণও দিয়েছেন তিনি। কেপটাউন টেস্টের চতুর্থ দিন মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যাওয়ার সময় ৪১ রান দরকার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। বিরতির পরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৮ ওভার ৩ বলে সেই রান তুলে নেয় তারা। বিরতির পরে ভারতের তিন প্রধান বোলার যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ শামি ও শার্দুল ঠাকুরকে ব্যবহারই করেননি অধিনায়ক কোহলি। আর এতেই চটেছেন গাভাস্কার। তাদের ব্যবহার করে এক একটা শেষ চেষ্টা করা যেত না! গাভাস্কারের ভাষায়, ‘মধ্যাহ্ন বিরতির পরে কেন শার্দুল, বুমরাদের বল দেয়া হলো না, সেটা আমার কাছে রহস্য। দেখে মনে হচ্ছিল ভারত যেন মেনেই নিয়েছে তারা আর জিততে পারবে না। তাই কোনও চেষ্টাই করেনি।’
এমনকি স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন যখন বল করছিলেন, তখন দলের ফিল্ডিং সাজানো দেখেও অবাক হয়েছেন গাভাস্কার। তখন কী করা উচিত ছিল সেটা জানিয়ে বললেন, ‘অশ্বিনের জন্য ফিল্ডিং সাজানো ঠিক হয়নি। বাউন্ডারিতে পাঁচ ফিল্ডার। অনায়াসে এক-দুই রান হচ্ছে। ব্যাটাররা যদি ঝুঁকিই না নেয় তা হলে তাদের কীভাবে আউট করা যাবে।’ কেপটাউনের উইকেটে ব্যাট করা খুব একটা সহজ ছিল না বলেই মনে করেন গাভাস্কার। তার মধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা যেভাবে ব্যাট করেছেন তা প্রশংসার যোগ্য। ভারতীয় ব্যাটাররাও সেভাবে ব্যাট করলে অন্য রকমও হতে পারত ম্যাচের ফলাফল।
টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে কখনো সিরিজ জিততে পারেনি ভারত। কুইন্টন ডি কক অবসর নেয়ায় এবং দলের আরও কয়েকজন নিয়মিত মুখ করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তারণ্যনির্ভর দল নিয়ে সিরিজ খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই ভারতের সাবেকদের অনেকেই এবার কোহলিদের দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ের কথা বলেছিলেন। কিন্তু কেপটাউন টেস্টে হেরে ২-১ ব্যবধানে সিরিজও হারে সফরকারীরা।