আভা ডেস্কঃ বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে সরকারের পতন ঠেকানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত মাহমুদ।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শনিবার সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক তাজমেরী এস ইসলামের মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
এতে শওকত মাহমুদ বলেন, ‘বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে লাভ হবে না। তদবির করে ক্ষমতা টিকানো যাবে না; সরকারের পতন ঠেকানো যাবে না। কারণ বিশ্ববিবেক জেগে উঠেছে।
‘মানবাধিকার সংগঠনগুলো একের পর এক রিপোর্ট প্রকাশ করছে। সরকার যতই লবিস্ট নিয়োগ করুক, সত্যকে আর ধামাচাপা দেয়া যাবে না।’
সরকার যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক লবিস্ট নিয়োগ করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তিনি মনে করেন, দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করাই যায়।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে শুক্রবার সকালে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এর এক দিন পর মানববন্ধনে শওকত মাহমুদ বলেন, ‘১৯৭১ সালে যখন চূড়ান্ত বিজয় সমাগত, যখন জনগণ বিজয়ের জন্য অপেক্ষা করছে, তখন তারা বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষকদের হত্যা করেছে, কিন্তু তারপরও তারা বিজয় অর্জন করতে পারেননি; তাদের পতন হয়েছে।
‘নব্বইয়ে এরশাদের পতনের প্রাক্কালে স্বৈরাচার এরশাদ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পেশাজীবী নেতা ড্যাবের যুগ্ম মহাসচিব ডা. মিলনকে হত্যা করেও তার পতন ঠেকাতে পারেনি। সেদিন ২৭ নভেম্বর থেকে স্বৈরাচার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হয়েছিল। সাংবাদিকরা সেদিন থেকে পত্রিকা প্রকাশ বন্ধ করে দিয়েছিল এবং এরশাদের পতন পর্যন্ত তারা পত্রিকা বের করেনি।
‘আজকে এই স্বৈরাচার সরকার তাদের পতনের প্রাক্কালে আবার সেই শিক্ষকের ওপর আক্রমণ শুরু করেছে, তাজমেরী ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ভয় ধরানোর জন্য। আমরা কোনো অবস্থাতেই পিছু হটব না। আমরা এ সরকারের পতন ঘটাব এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, তাজমেরী এস ইসলাম, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীসহ সকল রাজবন্দীকে মুক্ত করে আনব ইনশাল্লাহ।’
শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. আবদুল কুদ্দুস, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএফইউজের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রুকন, ঢাবির অধ্যাপক আক্তার হোসেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সাংবাদিক নেতা রাশেদুল হকসহ পেশাজীবীরা।