নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চেয়ারম্যানের একক সিদ্ধান্তে সপ্তম গ্রেড থেকে সরাসরি ৫গ্রেডে পদোন্নতি । ৬ কর্মকর্তাকে রাজশাহী ব্যুরো পদ না থাকলেও মনগড়া পদ তৈরি করেন চেয়ারম্যান । চেয়ারম্যানের একক সিদ্ধান্তে সপ্তম গ্রেড থেকে সরাসরি ৫ম গ্রেডে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের ৬ জন কর্মকর্তাকে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার শিক্ষাবোর্ডে তদন্তে আসে দুদক সদস্যরা। তদন্তে শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহা. মকবুল হোসেনের এই অনিয়ম ধরা পড়ে দুদক সদস্যদের কাছে।
তদন্তে অংশ নেয়া দুদক কর্মকর্তারা জানান, পদোন্নতি প্রাপ্ত শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা হলেন, উপসচিব (ভান্ডার) (চলতি দায়িত্বে) ফরিদ হাসানকে পদোন্নতি দিয়ে উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (জেএসসি), উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (স্ক্রীপ্ট) (চলতি দায়িত্বে) রুবীকে উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (স্ক্রীপ্ট), উপ-সচিব (ভান্ডার) (চলতি দায়িত্বে) মোহা. দুরুল হোদাকে উপ-সচিব (ভান্ডার), সহকারী সচিব (প্রশাসন) খোরশেদ আলমকে উপসচিব (প্রটোকল), সহকারী ক্রীড়া অফিসার মো. নুরুজ্জামানকে উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক (রেজি.) ও গণসংযোগ অফিসার সুলতানা শামীমা আক্তারকে লাইব্রেরী এন্ড ইনফরমেশন ডকুমেন্টশন অফিসার হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।
দুদক রাজশাহীর সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেন জানান, শিক্ষাবোর্ডের ৬ জন কর্মকর্তার পদ-পদবী ও প্রমোশন দেওয়া হয়েছে। এদেরকে সপ্তম গ্রেড থেকে ছষ্ঠ গ্রেড বাদ দিয়ে সরাসরি ৫ম গ্রেডে বেতন কাঠামোতে নিয়ে আসা হয়েছে।
এ নিয়ে বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। যা রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের বোর্ড সভায় অনুমোদন ছাড়াই শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মোকবুল হোসেন একক সিদ্ধান্তে করেছেন। বিষয়টি নিয়ে সচিবসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিস্মিত ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
দুদক রাজশাহীর কোর্ট পরিদর্শক আমির হোসেন বলেন, পদ না থাকলেও চেয়ারম্যান একক সিদ্ধান্তে ৬জনকে পদোন্নতি দিয়েছেন। এদেরকে সপ্তম গ্রেড থেকে সরাসরি ৫ম গ্রেডে অনিয়মের মাধ্যমে আনা হয়েছে। এজন্য বোর্ড সভায় কোন অনুমোদনও নেয়া হয়নি। এটা দুর্নীতির মধ্যে পড়েছে।
আমরা কাগজপত্র সংগ্রহ করে কমিশনের কাছে প্রমাণাদিসহ রিপোর্ট পেশ করবো। কমিশন যে সিদ্ধান্ত দেবে তা বাস্তবায়ন করবো। চাকরিতে প্রবেশের সময় এরা সবাই তৃতীয় শ্রেণীতে কাজে যোগ দিয়েছিলো। কেউ এসএসসি, কেউ এইচএসসি পাস। সপ্তম গ্রেড থেকে সরাসরি ৫ম গ্রেডে আসা এদের কোনভাবেই সম্ভব নয়।
এবিষয়ে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহা. মোকবুল হোসেন দেশের বাইরে থাকায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। শিক্ষাবোর্ডের সচিব ড. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, গত ১৫ জানুয়ারী তাদের পদোন্নতি দেয়ার পরে বিষয়টি জেনেছি। যে পদে দেয়া হয়েছে সেই পদই নাই।
চেয়ারম্যান মোকবুল হোসেন এবং ভারপ্রাপ্ত সচিব দেবাশীষ রঞ্জন রায়কে দিয়ে ব্যাক ডেটে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়া হয়েছে বলে শুনেছি। অথচ সচিব থাকা অবস্থায় ভারপ্রাপ্ত সচিবকে দিয়ে স্বাক্ষরও করানোর বিধান নেই।