আভা ডেস্কঃ চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় নিপীড়নের পর শিশু সুমাইয়া খাতুন (৭) হত্যার ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নাম মোমিন (২০)।
শনিবার রাত সাড়ে ১০টার সময় পারকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে একটি শিম ক্ষেতের ভেতর থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সুমাইয়া উপজেলার পারকৃষ্ণপুর গ্রামের কাঠুরিয়া নসিরুল ইসলামের মেয়ে ও ছয়ঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালযের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
এদিকে এ ঘটনায় গ্রেফতার মোমিন উপজেলার পারকৃষ্ণপুর গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে। বর্তমানে তাকে দামুড়হুদা মডেল থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুরে সুমাইয়া খাতুন স্কুল শেষে বাড়ি ফিরে বের হলে সে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ৮ ঘণ্টা পর কৃষ্ণপুর দর্শনা শহরসহ আশপাশে মাইকিং করা হয়।
গ্রামের লোকজন মাঠে এবং আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় তাকে খুঁজতে থাকেন। মাইকিংয়ের আড়াই ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার রক্তাক্ত মরদেহ পারকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে একটি শিম ক্ষেতে পাওয়া যায়। এর পর পুলিশে খবর দেয়া হয়।
মরদেহ রাত ১টার দিকে উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট করে দামুড়হুদা মডেল থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
দর্শনা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ওসি শেখ মাহবুব জানান, শিশু সুমাইয়া খাতুনকে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ধর্ষককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।