রাজশাহীতে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্চিত, থানায় অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিককে প্রান নাশের হুমকিসহ শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান আসাদের নেতৃত্বে সাংবাদিককে লাঞ্চিত ও প্রাণের মেরে ফেলার হুমকিসহ প্রায় ১ ঘন্টা অবরুদ্ধ করা হয়।
সোমবার (১০ জুলাই) বিকাল ৪ টায় বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের সাথে দেখা ও তাদের বক্তব্য সংগ্রহে গিয়ে এমন হুমকিসহ লাঞ্চিত মুখে অবরুদ্ধ হন।। ঐ সাংবাদিকের নাম আবুল হাশেম। সে দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর ভিতরে চারদিকে ময়লা আর্বজনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় সেখানকার কর্তব্যরত লোকের সাথে কথা বললে তারা কিছু জানে না বলে জানায়। সেখানকার এই নোংরা পরিবেশের ভিডিও গ্রহনের সময় ডা. আসাদুজ্জামান আসাদের লোকজন বাধা প্রদান করেন এবং ফোন কেড়ে নেয়।
কিছুক্ষণের মধ্যেই আসাদ সেখানে এসে উপস্থিত হয় এবং সাংবাদিক আবুল হাশেমকে জোর পূবর্ক তার অফিসে নিয়ে যায়। এবং তাকে প্রায় ১ ঘন্টার মতো তার রুমে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং বারবার বলে তোর গলা কেটে নিবো। এর আগেও তার নামে রোগীদের সাথে খারাপ আচরণের কথা শোনা গিয়েছে। এছাড়াও ২০২০ সালে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুজন ডাক্তারের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিলেন তিনি।
এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনর্চাজ খায়রুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ঘটনার পর পরই পুলিশ গিয়ে সাংবাদিক আবুল হাসেমকে উদ্ধার করেন। পরে এ বিষয়ে আমরা অভিযোগ নিয়েছি, বিষয়টি তদন্তে সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে ডা: আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আবুল হাসেম আমার পূর্ব পরিচিত। তাঁর বাসা আর আমার বাসা একই গ্রামে। সামান্য ভুলবোঝাবুঝি হয়েছে। অনিয়ম দুর্নীতি বা নোংরা পরিবেশ থাকলে সে আমাকে বলতে পারতো। আমাকে না বলে সে ভিডিও ধারণ করেছে, তা ঠিক করেননি। একারণে আমার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লোকজন থাকে বাধা দিয়েছে। পরে অবশ্য সেই ভুলবোঝাবুঝি ঠিক করে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কাজ করলে কাজের ভুলত্রুটি থাকতেই পারে। তাই বলে কি ভিডিও করা লাগবে। আমাকে বললেই তো হতো।
জানতে চাইলে রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা: আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এমন ঘটনা ঘটলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য যে, বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন যাবৎ নানা অনিয়ম দুর্নীতি হয়ে আসছিলো। নিম্নমানের খাবার বিতরণ ও ওষুধ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে আসছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর দূর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই ডাক্তারের সঙ্গেও তিনি দ্বন্দ্বে জড়ান। তিনি কথায় কথায় থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানিও করেন। ঐ উপজেলায় কর্মরত অবস্থায় নানা অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়ান তিনি, তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।

Next Post

গোদাগাড়ীতে ডাক্তার না হয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন প্রতারক নারী

মঙ্গল জুলাই ১১ , ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ফুলতলা এলাকার ইসমোত আরা এইচএসসি পাস করে পল্লী চিকিৎসক হিসাবে ছয় মাস সল্পমেয়াদি কোর্স সম্পন্ন করে নিজেকে পরিচয় দেন ডাক্তার। মীম মেডিকেল স্টোর এর ব্যানারে নাম ব্যবহার করেন ডাঃ মোসাঃ ইসমোত আরা এবং ব্যানারের কর্নারে ব্যবহৃত করে ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এস ১৩৬১। গ্রামের সহজ […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links