নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ফুলতলা এলাকার ইসমোত আরা এইচএসসি পাস করে পল্লী চিকিৎসক হিসাবে ছয় মাস সল্পমেয়াদি কোর্স সম্পন্ন করে নিজেকে পরিচয় দেন ডাক্তার।
মীম মেডিকেল স্টোর এর ব্যানারে নাম ব্যবহার করেন ডাঃ মোসাঃ ইসমোত আরা এবং ব্যানারের কর্নারে ব্যবহৃত করে ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এস ১৩৬১।
গ্রামের সহজ সরল লোকজন ডাক্তার ভেবে ইসমোত আরার কাছে চিকিৎসা নিতে এসে রীতিমতো হচ্ছেন প্রতারনার শিকার কিন্তু এদের রুখবে কে? দেখার যেন কেউ নেই তাই তো দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এই প্রতারনা। এতে প্রতারিত হচ্ছে অনেকেই।
অনুসন্ধানে জানা যায়, তিনি জেনে বুঝে এই সাইনবোর্ড ও ভিজিটিং কার্ড ব্যবহার করে আসছেন বহুদিন ধরে। ভুক্তভোগীদের কাছে জানতে চাইলে অনেকেই বলেন আমরাতো জানি তিনি ডাক্তারি পাস করেছে।
আসলে সাইনবোর্ড ও ভিজিটিং কার্ড দেখে বুঝতেই পারবেনা যে মানুষের সাথে প্রতারনা করছেন। সহজ-সরল বিশ্বাসে বিশ্বাস ঘাতকতা করে আসছে প্রতিনিয়তো।
ইসমোত আরা ইতি পূর্বে তিনি বিবাহিত জীবন যাপন করলেও বর্তমানে তিনি একজন স্বামী পরিত্যক্তা একাকী জীবন যাপন করছেন। সুন্দর চেহারা দেখিয়ে টিকটকে বেশ যাগাজুরে আছে সোশাল মিডিয়ায়। সেখানে ইতি পূর্বে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তি মুলক টিকটক পরিবেশন করে এলাকায় হৈচৈ ফেলে দেন। বিতর্কিত করেছেন এ দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাগনকে।
এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা বলেন, তিনি যে, পল্লীচিকিৎসক তা তো তিনি আমাদেরকে বলেন না। ডাক্তারের সাইনবোর্ডে তো ডাক্তার লেখা তাহার ব্যক্তিগত ভিজিটিং কার্ডে তো তিনি ডাক্তারি লেখেন আমরা বুঝবো কি ভাবে যে, সে ডাক্তার না পল্লী চিকিৎসক।
ইসমোত আরা বলেন, তাহার পিতা একজন ফার্মাসিস্ট থাকায় ঔষুধ সমন্ধে ভালো সন্মুখ ধারনার ভিত্তিতে ডাক্তার হিসাবে ঔষুধ দিয়ে আসছেন। তাহার সাইনবোর্ড সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন এটা আমার ভূল হয়েছে আমি সাইনবোর্ড নামিয়ে দেবো।
এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা বলেন,
এটা রোগীদের সঙ্গে এক ধরনের প্রতারণার শামিল। এসব ভুয়া ডাক্তাররের চিকিৎসার কারণে গ্রামে-গঞ্জে অসংখ্য রোগী অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন। গ্রামে-গঞ্জে এত বেশি কথিত ডাক্তার বা পল্লী চিকিৎসকরা নামের আগে ডাক্তার ব্যবহার করছেন যে এটি আসলে নিরূপণ করে তাদের আইনের আওতায় আনা সহজ কাজ নয়। এটা বন্ধ করতে হলে সরকারের উদ্যোগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারী ছাড়া কেউ নামের আগে ডাক্তার লিখে চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র দিতে পারবে না। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো এবং আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করবো ।
এই আইনের ২৯ ধারায় বলা হয়েছে ‘ন্যূনতম এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রিপ্রাপ্তরা ব্যতীত অন্য কেউ ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবে না’।