ভোট বাতিল করার মত কিছু হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।

আভা ডেস্কঃ দীর্ঘ ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণের সময় নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ বলছে, নির্বাচন বাতিল করার মতো গুরুতর কিছু ঘটেনি।

“বিক্ষোভ করতেই পারে, কিন্তু আমি যতটা দেখেছি, এরকম দাবি করার মতো অবস্থা মনে হয়নি। তারা কোন প্রমাণ দিলে তদন্ত করে দেখবো উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। কিন্তু নির্বাচন বাতিল করার মতো অবস্থা হয়েছে বলে আমি মনে করি না,” এ কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ।

অধ্যাপক সামাদ বলেন, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে কিছু অনিয়ম হয়েছিল, তবে সেখানে নতুন ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপার দিয়ে আবার ভোটগ্রহণ শুরু করে দেয়া হয়।

সোমবার সকালে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী আবাসিক হলে আগে থেকে সিল মারা ব্যালট পাওয়ার অভিযোগ ওঠে এবং বলা হয়, সেগুলোতে হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্রার্থীদের নামের পাশে সিল দেয়া ছিল। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের তীব্র ক্ষোভের মুখে হলের ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। রোকেয়া হলেও নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পরে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

তবে অধ্যাপক সামাদ বলেন, “রোকেয়া হলে বহিরাগত কিছু লোক ব্যালট পেপারের ট্রাংক ভেঙে লন্ডভন্ড অবস্থা তৈরি করে। এ জন্য সময় মত ভোট শুরু হতে পারে নি।”

“কিন্তু এ ছাড়া বাকি ১৫টি হলের সবগুলোতে আমি নিজে গিয়েছি। কোন হলেই নির্বাচন নিয়ে কোন প্রশ্ন ওঠে নি। সারিবদ্ধভাবে সবাই ভোট দিয়েছে।”

তিনি বলেন, কিছু কিছু অভিযোগ তাদের আছে। কিছু শুনেছি, কিন্তু ভোট বর্জন বা পুননির্বাচনের মতো কোন পরিস্থিতি আমার মতে তৈরি হয় নি।”

ভোটে কারচুপি, অনিয়ম ও হামলার বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করে পুনঃতফসিলের দাবি জানায় ছাত্রলীগ ছাড়া বাকি সব প্যানেল।

অধ্যাপক সামাদ বলেন, ছাত্রদের এ দাবি যৌক্তিক বলে তিনি মনে করছেন না।

বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের ঘটনাটি ছাড়া নির্বাচনে আর কোন অনিয়ম হয়নি বলে জানান মি. সামাদ, তবে তিনি উল্লেখ করেন যে সেই ঘটনাটিরও প্রতিকার করা হয়েছে।

কিন্তু ওই একটি ঘটনাই বা ঘটলো কেন? এক প্রশ্নে জবাবে মি. সামাদ বলেন, “তদন্ত করলে সবটা বোঝা যাবে – তবে আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে যে প্রশাসনের ব্যবস্থাপনার মধ্যে ত্রুটি ছিল।”

“এ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় শিক্ষকরা জড়িত হয়েছেন। এ নিয়ে কোন অনিয়ম হলে আমাদের নৈতিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে” – বলেন তিনি।

সুফিয়া কামাল হল সংসদ প্রার্থীরা ভোটে অনাস্থা জানিয়ে পুরো ভবনটি তল্লাশির দাবি জানান।এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে ভোট সাময়িক বন্ধ রাখা হয়।

বিবিসি

Next Post

ইস্তিকাল অ্যাভিনিউয়ের প্রবেশমুখে সমবেত ওই নারীদের কর্মসূচিটি ‘স্বাভাবিক’ ছিল না বলে জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।

সোম মার্চ ১১ , ২০১৯
আভা ডেস্কঃ ইস্তাম্বুলে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মিছিলে টিয়ার গ্যাস ও কুকুর লেলিয়ে দিয়ে কর্মসূচি পণ্ড করে দেয়ার খবর বিশ্ব মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে। কেন ওই কর্মসূচিকে পণ্ড করে দেয়া হলো এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। ইস্তাম্বুলের প্রধান সড়ক ইস্তিকাল অ্যাভিনিউয়ের প্রবেশমুখে সমবেত […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links