আভা ডেস্কঃ রাজধানীর ওয়ারীর গোয়ালঘাট এলাকায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রেশমা আক্তার নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, স্বামী রবিন হোসেন তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ফ্যানে ঝুলিয়ে দিয়েছে। এ অভিযোগে করা মামলায় রবিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার দিবাগত রাতে রেশমার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। রোববার সকালে লাশ উদ্ধারের পর বিকালের দিকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়।
রেশমা মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার বড় ফুলকচি গ্রামের মনু হাওলাদারের মেয়ে। স্বামী রবিন হোসেনের সঙ্গে ওয়ারী গোয়ালঘাট লেনের বাসার ষষ্ঠ তলায় ভাড়া থাকতেন। এই দম্পতির ৯ মাস বয়সী একটি সন্তান আছে।
রেশমার বাবা মনু হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে আড়াই বছর আগে রবিনের সঙ্গে রেশমার বিয়ে হয়। কয়েক দিন আগে গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় আসে তারা। শনিবার দুপুরের দিকে রেশমা আমাকে ফোন করে জানায়, তার স্বামী রবিন তাকে মারধর করছে।
তিনি বলেন, শনিবার দিবাগত রাতে রবিন তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। হত্যার সময় রেশমার চিৎকার পাশের বাসার ভাড়াটিয়ারাও শুনতে পেয়েছিল। পরে ভাড়াটিয়ারা ডাকাডাকি করলে একপর্যায়ে রবিন দরজা খুলে দেয়। ভাড়াটিয়ারা রেশমাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
এ বিষয়ে ওয়ারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রঞ্জিত সরকার বলেন, নিহতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামী রবিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।