ফিফার টি-শার্ট তৈরি হচ্ছে চট্টগ্রামে

আভা ডেস্কঃ চলতি বছরের ২১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। সে আসরে মেইড ইন বাংলাদেশ লেখা ফিফার টি-শার্ট যাবে কাতারে। চট্টগ্রামের একটি কারখানায় তৈরি হচ্ছে ফিফার অফিশিয়াল টি-শার্ট। গত সপ্তাহে টি-শার্টের একটি চালান রপ্তানিও করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিশ্বকাপ ফুটবলে পোশাকপণ্য ও সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য আয়োজক সংস্থা ফিফা বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাইসেন্স দেয়। লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠানকে জার্সি, টি-শার্ট, জ্যাকেটসহ নানা সরঞ্জাম তৈরির কার্যাদেশ দেয়।

কাতার বিশ্বকাপের পোশাকপণ্য সরবরাহে অনেকের মতো ফিফার লাইসেন্স পেয়েছে রাশিয়ার একটি ক্রীড়াসামগ্রী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের গোসাইলডাঙ্গার সনেট টেক্সটাইল লিমিটেডকে ছয় লাখ টি-শার্ট বানানোর কার্যাদেশ দেয়।

কারখানাটি ইতোমধ্যে ৩ লাখ পিস টি-শার্ট রপ্তানি করেছে গত সপ্তাহে। বাকি ৩ লাখ পিস টি-শার্ট রপ্তানির জন্য প্যাকেটজাত করছেন শ্রমিকরা। মার্চের শুরুতে এগুলো রপ্তানি করা হবে বলে জানিয়েছেন কারখানার কর্মকর্তারা।

২০২১ সালে টি-শার্ট তৈরির কার্যাদেশ পায় সনেট টেক্সটাইল। ফিফার চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়ে ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটি উৎপাদন শুরু করে ৬ লাখ পিস টি-শার্টের। যার রপ্তানিমূল্য ১৫ লাখ মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৩ কোটি টাকা।

এর আগে ২০১৮ সালে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফুটবলের আসরে ২ লাখ পিস টি-শার্ট তৈরি করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া ২০১৯ সালের ইউরো কাপেও ২ লাখ ৫০ হাজার পিস টি-শার্ট তৈরি করে।

সনেট টেক্সটাইলের পরিচালক লায়ন গাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘২০১৮ সালের বিশ্বকাপেও আমরা ফিফার জন্য টি-শার্ট তৈরি করি। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও আমাদের নিয়মিত ক্রেতা রাশিয়ান একটি প্রতিষ্ঠান থেকে কার্যাদেশ পাই। এটা আমাদের জন্য আনন্দ ও গর্বের বিষয়।’

নিট পোশাক প্রস্তুতকারকদের সংগঠন বিকেএমইএ-এর পরিচালক তিনি। বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের আগেই আমরা সব টি-শার্ট ক্রেতাদের বুঝিয়ে দিতে পারব। ইতোমধ্যে ৩ লাখ পিস রপ্তানির উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে। বাকি চালানও মার্চের শুরুতেই পৌঁছে যাবে।’

২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত সনেট টেক্সটাইলের মোট তিনটি কারখানা মিলিয়ে বার্ষিক রপ্তানি ২ কোটি ডলার বা প্রায় ১৭১ কোটি টাকা। ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১০-১২টি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান তাদের কাছ থেকে পোশাক কেনে।

Next Post

শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে একাই চাইলেন বিচার

বৃহস্পতি ফেব্রু. ২৪ , ২০২২
আভা ডেস্কঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা নিজ বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ তুলে বিচার চেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ সেশনের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারজানা এই অভিযোগের বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে বুধবার বিচার দাবি করেন। […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links