জাবি ক্যাম্পাসে ছাগলপালন নিয়ে প্রভোস্ট তোপের মুখে ।

আভা ডেস্কঃ করোনা মহামারীতে বন্ধ আবাসিক হলে কর্মচারীদের দিয়ে ছাগল পালনের অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শহীদ সালাম-বরকত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আলী আজম তালুকদারের বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি হলে ছাগল পালনের কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে ক্যাম্পাসে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

করোনাভাইরাসের প্রকোপে চলতি বছরের মার্চের ২০ তারিখ থেকে বন্ধ রয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাস বন্ধের কয়েক দিন পর শহীদ সালাম-বরকত হলটি সিলগালা করেন হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক আলী আজম তালুকদার।

হলের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, হল সিলগালা করার কয়েক দিন পর হলটিতে ছাগল পালন শুরু করেন প্রভোস্ট। আর ছাগলগুলো দেখাশোনা করেন হলেরই কর্মচারীরা। বর্তমানে হলে পাঁচটি ছাগল পালন করছেন। আসছে কোরবানি ঈদ পর্যন্ত ছাগলগুলো পালবেন বলে প্রভোস্টের পরিকল্পনা আছে বলে সূত্রটি জানায়।

হল ও শিক্ষকদের একাধিক সূত্র জানায়, অধ্যাপক আজম শুধু হলে নয়, প্রভোস্ট কোয়ার্টারেও ছাগলসহ হাঁস-মুরগি পালন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে– হলে কিংবা কোয়ার্টারে সব ধরনের গবাদিপশু পালন নিষিদ্ধ বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেট অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক উদ্যান তত্ত্ববিদ মো. নুরুল আমিন।

তিনি  জানান, অধ্যাপক আজম ছাগল, হাঁস-মুরগি তো দূরের কথা, কোয়ার্টারের ভেতর পুকুর খনন করেছেন। সেটিও অনুমতি নেননি।

অভিযোগ করে তিনি বলেন, অধ্যাপক আজম নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে একের পর এক অনৈতিক কর্মকাণ্ড করেই চলেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রভোস্ট কোয়ার্টারে বর্তমানে তিনি পাঁচটি ছাগল, ১৩টি পাতিহাঁস, একটি রাজহাঁস ও দুটি দেশি মুরগি পালন করছেন। আর কোয়ার্টারের ভেতরে একটি পুকুর খনন করে তাতে মাছ চাষ করছেন। আর এসবের দেখভাল করেন হলেরই কর্মচারীরা। তবে কর্মচারীদের অভিযোগ– প্রভোস্ট জোর করেই তাদের দিয়ে এসব আপত্তিকর কাজ করান।

সরেজমিন জানা যায়, হলের ভেতর ছাগল চরানো ও পালন করায় হলে দুর্গদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি হলের শোভাবর্ধন বৃক্ষ ও ফুলের গাছও ছাগলে নষ্ট করে ফেলেছে।

হলের কমর্চারী দিয়ে ছাগল পালনের বিষয়ে জানতে হলটির কয়েকজন কর্মচারীর সঙ্গে কথা হয়। তারা বলেন, প্রভোস্ট তাদের দিয়ে জোরপূর্বক এসব কাজ করান।

করোনায় হল ছুটির মধ্যে এখনও প্রভোস্টের বাসায় একজন পিওন ও একজন ডাইনিং রাঁধুনিকে নিয়মিত কাজ করতে বাধ্য করান বলেও অভিযোগ তাদের।

হলে ছাগল পালনের বিষয়ে হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক আলী আজম তালুকদার মোবাইল ফোনে বলেন, ছাগলের যে ছবি ফেসবুকে ছড়িয়েছে, সেটি আমার ছাগল কিনা তা আমি বলতে পারব না। তবে আমি হলে না, কোয়ার্টারে ছাগল, হাঁস-মুরগি, পালন করি।

তিনি আরও বলেন, করোনায় বন্ধের মধ্যে ওই ছাত্র অনৈতিকভাবে হলে অবস্থান করতে চেয়েছিল। আমি সেটিতে বাধা দেয়ায় ছাগলের ওই ছবিটি ফেসবুকে ছাড়ে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলকে এভাবে ছাগলের খোয়াড় বানানোয় ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।

 

Next Post

আসুন জেনে নিই ধনিয়া পাতার চাটনি রেসিপি–

মঙ্গল জুন ১৬ , ২০২০
আভা ডেস্কঃ প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে আমরা আচার কিংবা চাটনি খেয়ে থাকি, যা খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি মুখের রুচিও বাড়ায়। ঘরে আচার না থাকলে খেতে পারেন ধনিয়া পাতার চাটনি। বাজার থেকে ধনিয়া পাতা কিনে এনে খুব সহজে তৈরি করতে পারবেন এই চাটনি। আসুন জেনে নিই ধনিয়া পাতার চাটনি রেসিপি– উপকারণ দেড় […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links