আভা ডেস্কঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ধর্ষণে বাধা দেয়ায় এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। পোড়াহাটি ইউনিয়নে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. সোহেল রানা।
ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য সৈকত আলী বলেন, ‘দুপুরে গাছ থেকে ছাগলের পাতা পাড়তে বাড়ির পাশের একটি বাগানে যান ওই গৃহবধূ। সেখানে ওত পেতে থাকা ইয়াদ আলী তার মুখ কাপড়ে বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। বাধা দিলে ইট ও কাঠের বাটাম দিয়ে ওই নারীর মুখে ও মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ইয়াদ আলী। গৃহবধূর চিৎকার শুনে আমরা সেখানে গিয়ে তাকে আহত অবস্থায় দেখতে পাই। এ সময় ইয়াদ আলী তার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাকে আগে কখনও দেখিনি। পরে আমরা তাকে আটক করে ঝিনাইদহ র্যাব-৬-এর হাতে তুলে দিই।’
আটক ৪৫ বছরের ইয়াদ আলীর বাড়ি নড়াইল সদর উপজেরার ডুমুরতলা গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, আহত গৃহবধূকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মাগুরায় তার মৃত্যু হয়। এলাকাবাসী সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ হত্যার বিচার দাবি করেন।
ওসি সোহেল রানা বলেন, ‘গৃহবধূর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হামলাকারী র্যাবের হাতে আটক থাকায় তার ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে পারছি না।’
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল বাশার বলেন, ‘ইয়াদ আলীর পরিচয় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিলেছে। তার কথাবার্তা অসংগতিপূর্ণ। তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী নাকি নেশাগ্রস্ত, তা তদন্ত করে জানা যাবে। তবে এখনও কোনো মামলা হয়নি।’
এ ঘটনা জানতে র্যাব-৬ সিপিসি-২ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর শরিফুল আহসানকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।