নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গত ২২ শে জুন কাটাখালী থানা এলাকার মাদক সম্রাট নাজমুল ওরফে বাবুর স্ত্রী কাজল (৩০) কর্তৃক সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রতারনা মুলক মামলার জামিন মঞ্জুর করেন রাজশাহী এমএম -৫ আদালত। গত ২২ জুন কাটাখালী থানায় অপসাংবাদিক মুল হোতা জামায়াত- বিএনপির মদত পুষ্ঠ কতিপয় সাংবাদিক রুপি সাংঘাতিক দ্বারা প্ররোচিত হয়ে একটি মিথ্যা মামলা দেন, সাংবাদিক এম এ হাবিব জুয়েল ও ফটোসাংবাদিক মমিনের উপর ।। উল্লেখ্য ২২ জুন রাজপাড়া থানার এ এস আই বেলালের বিরুদ্ধে গুড়িপাড়ার রিক্সাওয়ালা সুজনের গর্ভবতী স্ত্রী পিংকির অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ হয় জাতীয় দৈনিক জনকণ্ঠ, যুগান্তর, আলোকিত বাংলাদেশ, দৈনিক মাতৃজগত, দৈনিক সোনালী খবর, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার, সহ অনলাইন পত্রিকা জাগো নিউজ, ঢাকা টাইম, ভোরের আভা, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন, সহ প্রায় ৪৫ টি পত্র পত্রিকায়। এরপর পরই, রাজপাড়া থানার এ এস আই বেলাল, পবা উপজেলা নির্বাচন ডিউটি থেকে এসেই দুইটি নন রেজিস্ট্রার অনলাইনে মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে, নামীদামি পত্রিকায় হেয়ও করে, মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করেন। যদিও সরকারী চাকুরীজীবিরা কোন প্রতিবাদ বা সংবাদ প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের অনুমতি লাগে, কিন্তু এ এস আই বেলাল অনুমোদন না নিয়েই সংবাদ মাধ্যমকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করতে বললে, দুটি অনলাইন সেই মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেন। এদিকে উক্ত সংবাদে সর্বপ্রথম বক্তব্য চেয়ে এ এস আই কে ফোন করেন, সাংবাদিক এম এ হাবিব জুয়েল। এরপর পরই রাজপাড়া থানার সংবাদকে কেন্দ্র করে, হেয়ও করার জন্য, অনুমোদনহীন দুটি অনলাইনে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করেন সাংবাদিক এম এ হাবিব জুয়েল ও ফটোসাংবাদিক মোমিনের বিরুদ্ধে। রাজপাড়া থানার উক্ত সংবাদের পক্ষ পাত্বিত করতে গিয়ে মন গড়া মিথ্যা তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশ করেন মাদক ব্যবসায়ী নাজমুলের স্ত্রীর পক্ষে জামায়াত বিএনপির মদতপুষ্ঠ নামধারী সাংবাদিক বাসের হেল্পার, ও কিছু অশিক্ষিত ব্যাক্তি। উক্ত সংবাদের প্রতিবাদ করে ২৩ শে জুন বিকাল চারটায় মানববন্ধন করেন বাংলাদেশ তৃণমুল সাংবাদিক কল্যান সোসাইটি ও বাংলাদেশ অনলাইন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন। ২৪ শে জুন জাতীয় সাংবাদিক প্রেস ক্লাব, এটির তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করেন, সেই সাথে চিঠি পাঠান বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থায় । এদিকে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত রাজপাড়া থানার সেই সংবাদ কে কেন্দ্র করে মন গড়া সংবাদ প্রকাশকারী পত্র পত্রিকার সমালোচনা সহ উক্ত পত্রিকার সাংবাদিকদের বৈধতার বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন সচেতন মহল । যে কোন পেশা থেকে একটি অনলাইন বা নামধারী পত্রিকার কার্ড নিয়ে যে কেউ সাংবাদিক হতে পারেন কি না ?? জানতে চেয়ে আবেদন করেছেন প্রেস কাউন্সিলে । বৈধ্যতার চ্যালেঞ্জে গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেন উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক এম এ হাবিব জুয়েল । কথা বললে বাংলাদেশ তৃণমুল সাংবাদিক কল্যান সোসাইটির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম বলেন রাজশাহীতে অপসাংবাদিকতায় ভরে গেছে। বিভিন্ন সময়ে তারা পক্ষপাতিতের সংবাদ করতে গিয়ে মন গড়া মিথ্যা সংবাদ পরিবেশিন করে বিভ্রান্তি সৃষ্ঠি করছে। নুন্যতম যোগ্যতা যাদের নেই, তারা কিভাবে এই পেশায় অনুপ্রবেশ করে তা এখন চিন্তার বিষয়। তাদের অপসাংবাদিকতা দেশ জাতীর জন্য কতটা হুমকির তা এখনই ভাবার বিষয়, অন্যথায় জাতী বিপাকে বা বিভ্রান্তিতে পড়তে পারে যে কোন সময়।দ্রুত অপসাংবাদিকতা বন্ধ না করলে এর ভয়াবতা ব্যপক তীব্রতায় পরিনতি হবে বলে উল্লেখ করেন সাংবাদিক রেজাউল।।
অপরদিকে অপসাংবাদিকতার বিষয়ে অপরাধ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ প্রফেসার ইউনুস মির্ধা জানান, অপসাংবাদিকতা দেশ ও জাতীর জন্য এক ভয়াবহ অপরাধীর সৃষ্টি করতে বা অপরাধ সংঘটিত করতে বা নতুন অপরাধী সৃষ্টি করতে পারে। ভুয়া সংবাদ প্রকাশে মানি ব্যাক্তির যেমন মান যেতে পারে তেমনি সংঘটিত হতে পারে যে কোন অনাকাংখিত ঘটনা ।
এ বিষয়ে কথা বললে রাজশাহী বারের এডভোকেট বারী জানান, এখন রাজশাহীতে সাংবাদিকতা করতে সাংবাদিকদের পড়াশুনার দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। যে কেউ সাংবাদিক হয়ে যায় একটি কার্ডের বিনিময়ে। আমার চোখে দেখা কিছু ছেলে যাদের একাডেমিক কোন যোগ্যতা নেই অথচ তারা এখন সাংবাদিক । একজন মুর্খ সাংবাদিকের নিকট থেকে দেশ বা জাতী কি আশা করতে পারে। তাদের দ্বারা শুধু অপসাংবাদিকতা ছাড়া কিছুই আশা করা যায় না।
অন্যদিকে আইন শৃংখলা বাহিনীর একজন উদ্ধর্তন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করা শর্তে বলেন, রাজশাহীতে যে হারে অপসাংবাদিকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে ভবিষতে এর ভয়াবহতা নিয়ে সংশয়ে আছে আইন শৃংখলাবাহিনী।। যে কেউ একটি অনুমোদনহীন পত্র পত্রিকার কার্ড বানিয়ে যদি পড়া শুনা না করে সাংবাদিক হয়ে যায়, তাহলে সেই সকল সাংবাদিকদের নিকট দেশ জাতী কি আশা করতে পারে ।
এদিকে বাংলাদেশ অনলাইন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের রাজশাহী জেলা কমিটির সেক্রেটারী মাসুদ আলী পুলক বলেন, এ সকল নামধারী সাংবাদিক রুপী সাংঘাতিক তিলকে বানায় তাল। একটি ঘটনার বরাদ দিয়ে তিনি জানান মিজানের মোড় এলাকার মাদক সম্রাট আক্কাসের বাসায় গিয়ে বাসের হেল্পার ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে গনধোলায় খেয়ে আসে। তিনি জানায় ভুয়া ডিবি পরিচয় দিয়ে দারুশা এলাকায় জনগনের নিকট ধরা খাওয়া সাংবাদিকে পবা থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেন। সেই সময় সেই সাংবাদিকের নামে ভুয়া ডিবির মামলা দেন থানা পুলিশ। এ ধরনের অপসাংবাদিকতা ভরে গেছে রাজশাহী।
এখনই এই অপসাংবাদিকতা রুখে দিতে হবে অন্যথায় সমস্যা আরো ভয়াবহতা হবে বলে মনে করেন সচেতন মহল ।