এক ভাইয়ের সাজায় অন্য ভাইয়ের জেল।

সংবাদ ডেস্কঃ আসামি না হয়েও দুদকের করা মামলায় তিন বছর জেল খাটেন নরসিংদীর পাটকল শ্রমিক জাহালম। তার জেল খাটা নিয়ে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। সম্প্রতি হাইকোর্টের আদেশে জাহালম মুক্তি পায়। তাকে নিয়ে আলোচনার মধ্যেই রাজশাহীতে আরেক জাহালামের সন্ধান পাওয়া গেছে। বড় ভাইয়ের পরোয়ানায় পুলিশ ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক মাস ধরে জেল খাটছেন সজল মিয়া নামে ওই ব্যক্তি।

গত ২৬ মে আইনজীবীর মাধ্যমে নিজের মুক্তি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন সজল। ভুক্তভোগী সজল মিয়ার বাড়ি রাজশাহী মহানগরীর ছোটবনগ্রাম পশ্চিমপাড়া মহল্লায়। তার বাবার নাম তোফাজ উদ্দিন। সজলের বড় ভাইয়ের নাম সেলিম ওরফে ফজল।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায় যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া সেলিম দীর্ঘদিন ধরেই পলাতক। তার অনুপস্থিতিতেই ২০০৯ সালের ২৮ আগস্ট মামলার রায় হয়। রায়ে খালাস পান মামলার অন্য চার আসামি। দীর্ঘদিন ধরে লাপাত্তা সেলিমকে ধরতে গত ৩০ এপ্রিল সজলের বাড়িতে অভিযান চালায় নগরীর শাহমখদুম থানা পুলিশ। সেদিন সজলকে গ্রেপ্তার করে সেলিম নাম দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

তবে পুলিশের দাবি, তারা সঠিক আসামিকেই চিনেছেন। যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার নামই সেলিম এবং তিনিই যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তবে সজলের পক্ষ থেকে আদালতে মুক্তি চেয়ে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে যে আবেদন করা হয়েছে তাতে সজলের চার ভাই এবং চার বোনেরও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দেয়া হয়েছে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেগুলো সত্যায়িত করে দিয়েছেন।

এছাড়া সজলের জমি খারিজের ডিসিআর, জমির দলিলসহ বিভিন্ন কাগজপত্র জমা দেয়া হয়েছে। সজল এবং তার ভাই সেলিমের ছবি সম্বলিত এবং স্ট্যাম্পের কপিও দাখিল করা হয়েছে। সজলের আইনজীবী মোহন কুমার সাহা বলেন, অপরাধী না হয়েও সজল সাজা ভোগ করছেন। হয়তো ভুল করে অথবা প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নির্দোষ সজলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

বিষয়টি আদালতকে জানিয়ে তার মুক্তির জন্য আবেদন করা হয়েছে। আদালতের বিচারক আগামী ১১ জুন সজলকে আদালতে হাজির করে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।

জানতে চাইলে নগরীর শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, আমরা ঠিক আসামিকেই ধরেছি। মামলার সাক্ষীরা আসামিকে শনাক্ত করেছেন। এ নিয়ে তারা এফিডেফিটও করে দিয়েছেন। সেটি আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। তবে ভুল আসামি দাবি করে আদালতে মুক্তির আবেদনের বিষয়টি জানা নেই বলেই জানান ওসি।

সিল্কসিটি

Next Post

রাবিতে ১৯৭৬ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৩৯টি হত্যাকাণ্ডের মধ্যে বিচার হয়েছে ৪টি। এই ৪টি মামলাই শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের।

বৃহস্পতি মে ৩০ , ২০১৯
রাবি প্রতিনিধি, রাজশাহীঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭৬ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৩৯টি হত্যাকাণ্ডের মধ্যে বিচার হয়েছে ৪টি। এই ৪টি মামলাই শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের। দীর্ঘ এই সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও শিক্ষার্থী ও দিনমজুর হত্যার ৩৫টি মামলা বিচার হয়নি। এমনকি অনেক হত্যাকাণ্ডের রহস্যও উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ-প্রশাসন। বিভিন্ন সময়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও নিহতের স্বজনেরা […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links