বাঘায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানেও বন্ধ হচ্ছেনা পুকুর খনন, চলছে রাতের আঁধারে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় একাধিক এলাকায় চলছে পুকুর খনন। শুরুরদিকে এ সকল পুকুরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। তাতেও বন্ধ হয়নি পুকুর খনন। প্রশাসন কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যাক্তিরা হরহামেশাই করে যাচ্ছে এ সকল পুকুরের খনন কাজ।

বর্তমান সময়ে উপজেলা জুড়ে একযোগে তিনটি পুকুরের খনন কাজ চলমান রয়েছে । খনন কাজ চলমান থাকা ২টি পুকুরে উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি ও সহকারী নির্বাহী ম্যাজিসট্রেট জুয়েল রানা পৃথক পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। অপর আরেকটি পুকুরে এক জনকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন ম্যাজিসট্রেট হয়।

জানা যায়, তুলশীপুর এলাকার বাবুল হাজীর বলিহার ও আড়পাড়ার মাঝামাঝি বিলে ৫ বিঘা জমিতে বড় বড় আমের গাছ কেটে পুকুর খনন করা হচ্ছে। অনুমোদনহীন ভাবে উক্ত পুকুর খননের দায়ে সাহাবুল সরকার নামের এক ব্যাক্তিকে গত (২২ ডিসেম্বর) ভ্রাম্যমান আদালতে ৬ মাসের কারদন্ড দেওয়া হয়। এ ঘটনার ১দিন পর থেকে প্রতিদিন রাত ১২টায় শুরু করে সকাল ৬টা পর্যন্ত খনন করা হচ্ছে ওই পুকুর। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুকুর খনন যন্ত্র (ভেকু) মেশিন অচল হিসাবে একটি সামনে রাখা হলেও আরেকটি সচল ভেকু ওই পুকুরের পশ্চিমে লুকিয়ে রাখা হয়।

এর আগে বাউসা বিষ্টমন্ডলের বাজারের উত্তর পাশের হেলাল উদ্দিনের ৫ বিঘা ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা হয়। উক্ত পুকুরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর পরে ওই পুকুরের খনন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। অপরদিকে বাঘা উপজেলা পশুসম্পদ অফিসের পাশে প্রকাশ্যে একটি পুকুর খনন চলছে। প্রশাসন নিরব ভূমিকায় রয়েছে।

বাউসা কাচারি পাড়া মসজিদ সংলগ্ন জনাব আলীর ছেলে সান্টু,ফারুক সাইফুল ও জামাতা বাবলুর অংশীদারী জমিতে চলছে পুকুর খনন। এ বিষয়ে জনাব আলীর স্ত্রী জানান,আগেরই ১০ কাঠা জমি তে পুকুর ছিলো, এর সাথে আরও ১০ কাঠা জমি কেটে ১বিঘা পুকুর কেটে মাটি বিক্রি করবে। আর তিন বছর মাছ চাষ করবে মর্মে বাউসা মিয়া পাড়া এলাকার খলিল নামের এক ব্যাক্তিকে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে খলিল মুঠোফোনে বলেন,পুরাতন পুকুর সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রসাশনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিভাবে সম্ভব অবৈধ পুকুর খনন? এই অসাধু মহলের খুঁটির জোর কোথায়? যদি হরহামেশাই পুকুর খনন করা হয় তবে কিইবা প্রয়োজন এমন নাটকীয় ভ্রাম্যমান আদালতের? এই পুকুর খননে একদিকে যেমন নষ্ট হচ্ছে সরকারি রাস্তা, অন্যদিকে প্রতিবছর বর্ষায় সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি ও সহকারী নির্বাহী ম্যাজিসট্রেট জুয়েল রানা মুঠোফোনে বলেন, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার পরেও পুকুর খনন বন্ধ না হওয়ার বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Next Post

বাগমারায় ঋণে জর্জরিত পাওনাদারদের চাপে স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল

মঙ্গল জানু. ২ , ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজশাহী-৪ আসনের আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাগমারায় স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক ঋণে জর্জরিত পাওনাদারদের চাপে আছেন তিনি। পাওনাদাররা তাঁর কাছে টাকা চাইছে। যখন তিনি ভোট চাইতে বের হচ্ছেন তখন পাওয়াদাররা তাকে ঘীরে ধরছে। এটাকে তিনি বাধা বলে প্রচার করছেন। বাগমারায় […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links