গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা সদর উপজেলার মালিবাড়ি ইউনিয়নের কিশামত মালিবাড়ি ধর্মপুর গ্ৰামে খালাতো ভাই বোনের প্রেম। অবাধ চলাফেরার সুবাদে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক মেলামেশা অব্যাহত। অবশেষে বিয়ে না করায় সংশ্লিষ্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, উক্ত গ্ৰামের জনৈক জহুরুল ইসলাম ও একই গ্রামের নুরুল ইসলাম আপন ভায়রা ভাই। সেই সুবাদে উভয়ের পরিবারের লোকজন একে অপরের বাড়িতে যাতায়াত ছিল। এই যাতায়াতের এক পর্যায়ে জহুরুল ইসলামের কন্যার সাথে নুরুল ইসলামের পুত্র মশিউর রহমানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা খালাতো ভাই বোন হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো সহ শুরু হয় অবাধ যাতায়াত।
এদিকে এই অবাধ যাতায়াতের এক পর্যায়ে গত ৪ জুলাই/২০২০ ইং সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে প্রেমালাপ সহ বিয়ের আলোচনা করার প্রলোভন দিয়ে কৌশলে বাড়ির পাশ্ববর্তী ওকড়াবাড়ি ব্রীজের উপর নিয়ে গিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। পরে বাড়িতে এসে ঘটনাটি খুলে বললে জহুরুল ইসলাম তার ভায়রা ভাই এর বাড়িতে গিয়ে ধর্ষনের ঘটনা খুলে বলে এবং বিয়ের প্রস্তাব দেন। এ সময় উপস্থিত ভাগিনা মাহাবুর, মহুবর, শালিকা মোর্শেদা, ভায়রা নুরুল ইসলাম ও জনৈক ইয়াকুব আলী বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে সে ফিরে আসে।
পরের দিন ৫ জুলাই/২০২০ ইং বিকাল আনুমানিক ৪ টার দিকে প্রেমিক মশিউর রহমান তার প্রেমিকাকে বিয়ের কথা বলে পুনরায় ডেকে নিয়ে গিয়ে বেদম মারপিট করে বাড়ির পাশের রাস্তায় ফেলে দিয়ে যায়। খবর পেয়ে জহুরুল ইসলাম মেয়েকে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা থানায় ৬ জনকে আসামি করে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩, ধর্ষন, মারপিট ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অপরাধে মামলা দায়ের করে। যার নং- ১২, তারিখ- ৭/৭/২০২০ ইং।
এ ব্যাপারে জহুরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভিকটিমের মেডিকেল করার নিয়ম থাকলেও রহস্য জনক কারণে তা না করে কমপক্ষে ৭ দিন পর মেডিকেল করানো হয়েছে। তিনি অভিযোগের সুরে আরো বলেন, কৌশলে ধর্ষনের আলামত নষ্টের উদ্দেশ্যেই ভিকটিমের মেডিকেল যথাসময়ে না করে বিলম্ব করায় আমি ন্যায় বিচার না পাওয়ার আশংকা করছি। তাই বিষয়টিতে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন জনগণ।