আভা ডেস্কঃ করোনাভাইরাস মহামারির অভিঘাত ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে বিশ্ব যখন সংকটের মুখে, তখন দেশ ও জাতির কথা ভেবে বিএনপি কোনো দায়িত্বশীল আচরণ করছে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বরং দলটি জাতির ঐক্যের দুর্গে হানা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ তার।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির নেতাদের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে শুক্রবার এক বিবৃতিতে কাদের এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যকে ‘নির্লজ্জ মিথ্যাচার, উসকানিমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দিয়েছেন কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনা মহামারির অভিঘাতের মধ্যেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ সারা বিশ্বকে এক সংকটের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। এ ধরনের সংকট মোকাবিলায় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সব রাজনৈতিক দল দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে বিএনপি নামের রাজনৈতিক অপশক্তিটির কাছ থেকে জাতি কখনও দায়িত্বশীল কোনো আচরণ পায়নি।
‘বরং তারা সব সময়ই সংকটময় মুহূর্তে জাতির ঐক্যের দুর্গে হানা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পাঁয়তারা করে।’
বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশের অবস্থান তুলনামূলকভাবে ভালো রয়েছে বলেও দাবি করেছেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘ঠিক যেমনটি করোনাকালেও ছিল। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গবেষণায় যেসব রিপোর্ট উঠে এসেছে সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান যথেষ্ট ভালো।’
এই কৃতিত্বের পুরোটাই তিনি দিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হয়, তখনও সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা চলছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সফল রাষ্ট্রনায়কোচিত ভূমিকার কারণে বাংলাদেশের ওপর সেই মন্দার প্রভাব পড়ে নাই। শেখ হাসিনা মানেই সংকটকে সম্ভাবনায় রূপদানের নেতৃত্ব। শেখ হাসিনা মানেই দুর্যোগে সুযোগ সৃষ্টির কারিগর।’
বিপরীতে সংকট মোকাবিলায় জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসকে নস্যাৎ করতে বিএনপি নেতারা প্রতিনিয়ত নির্লজ্জ মিথ্যাচার, উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আসছে বলেও জানান কাদের।
তিনি বলেন, ‘জনগণকে আস্থায় রাখতে না পেরে বিএনপি একটি হতাশাবাদী রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। তাই বিএনপি নেতৃবৃন্দ প্রতিনিয়ত নিরাশার গল্প শুনিয়ে জাতির সঙ্গে তামাশা করছে। তারা খুব সচেতনভাবেই এটি করছে যাতে করে মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে; সামাজিক শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়।’
পাশাপাশি তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করে সরকারবিরোধী মনোভাব তৈরির পাঁয়তারা করছে বলেও দাবি করেন কাদের। তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে, হীন রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের অপচেষ্টায় শান্তি প্রিয় মানুষকে আত্মঘাতী করে তোলার মতো দূরভিসন্ধি বিএনপির অর্বাচীন রাজনীতির পরিচায়ক।’
বিএনপি নেতারা কথায় কথায় বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা করে দেশের জনগণের আত্মবিশ্বাস ক্ষুণ্ন করতে চায় বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এই নেতা।
কাদের বলেন, ‘তারা দেশের স্বপ্নবান জনগোষ্ঠীর সামনে বিভ্রান্তির ধোঁয়া ছড়িয়ে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চায়। অথচ সচেতন ব্যক্তি মাত্রই জানেন, দুই দেশের অর্থনীতির মৌলিক ভিত্তিই ভিন্ন। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে সমান্তরালে রেখে তুলনা করার কোন সুযোগ নেই।’
বিবৃতিতে উঠে এসেছে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গটিও। এ বিষয়ে কাদের বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেলে জনগণের উপর চাপ বাড়ে একথা সত্য। সেদিক বিবেচনায় রেখে সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
‘তবে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতা গ্রহণ করে তখন মূল্যস্ফীতি ছিল ১২.৩ শতাংশ। গত এক যুগের বেশি সময় ধরে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার সেই মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণ করে ৫ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে রাখে।’
নির্বাচনের সময় এলেই বিএনপি যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলে মরিয়া হয়ে ওঠে বলেও মন্তব্য করতে ছাড়েননি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
কাদের বলেন, ‘নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয় বিএনপি। তাদের বোঝা উচিত জনগণের জন্য কিছু না করে শুধু বাগাড়ম্বর বক্তৃতা-বিবৃতি প্রদান করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ক্ষমতায় আসীন হওয়া যায় না।
‘বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই নিজেদের স্বার্থ হাসিলে গণবিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্য দিয়ে জনগণের উপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়েছে। অন্যদিকে আগামী নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়ার জন্যও তারা জনগণের সামনে সুনির্দিষ্ট কোন পরিকল্পনা তুলে ধরতে পারছে না। তাই বিএনপি নেতৃবৃন্দ জাতির সামনে বিভ্রান্তিকর বক্তৃতা ও বিবৃতি প্রদান করে চলেছে।’
জনগণের আত্মবিশ্বাস ধ্বংস করা কোনো রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্য হতে পারে না বলে মনে করেন কাদের।
তাই বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান রেখে তিনি বলেন, ‘সামনের সংকট মোকাবিলার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার না করে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করুন। তাতে দেশের মানুষ উপকৃত হবে এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতি সমৃদ্ধ হবে।’
শুক্র জুলাই ২২ , ২০২২
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) ৯ নম্বর ওয়ার্ড মিনিবার (পা-গোলি) ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে রাজশাহী জাতীয় ঈদগাহ মাঠে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংঘ ও হোসেনীগঞ্জ চ্যালেঞ্জার্স ফাইনাল খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এতে হোসেনীগঞ্জ চ্যালেঞ্জাস ১-০ গোলে রাজশাহী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংঘ পরাজিত […]
এই রকম আরও খবর
-
৩০ জুন, ২০২১, ৬:৪৩ অপরাহ্ন
-
৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৭:২৪ অপরাহ্ন
-
৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৯:৩৪ অপরাহ্ন
-
৯ জুন, ২০২২, ৭:০৭ অপরাহ্ন
-
-
২৮ মে, ২০২০, ৫:২৫ অপরাহ্ন