আভা ডেস্কঃ চট্টগ্রামে গত চার দশকে ৬০ শতাংশ পাহাড় ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম।
সংগঠন দুটির দাবি, চার দশক আগে চট্টগ্রাম নগরীতে ২০০ পাহাড় থাকলে বর্তমানে আছে ৮০টি। ১২০টি পাহাড় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এর মধ্যে ১৫টি পাহাড় ধ্বংস করেছে সরকারি সংস্থা- চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
সরকারের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে নির্ধারিত জঙ্গল ছলিমপুরের পাহাড়সহ চট্টগ্রামের সব পাহাড় ও নদী রক্ষার দাবি জানান এই দুই সংগঠন নেতারা।
লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আলিউর রহমান বলেন, ‘ব্রিটিশ শাসনের পর পাকিস্তানের ২৪ বছরে চট্টগ্রামে পাহাড়ের সংখ্যা কমেছে। স্বাধীনতার পর ২০০৮ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রামের ৮৮টি পাহাড় বিলুপ্ত হয়েছে। একই সময়ে আংশিক কাটা হয়েছে ৯৫টি। এরপর ১২ বছরে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। শহরের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পাহাড় ধ্বংস।
‘২০১১ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, বেশির ভাগ পাহাড় কাটা হয় পাহাড়তলী, খুলশী, বায়েজিদ, লালখান বাজার, মতিঝরনা, ষোলশহর এবং ফয়স লেকে। ১৯৭৬ থেকে ৩২ বছরে চট্টগ্রাম নগর ও আশপাশের ৮৮টি পাহাড় সম্পূর্ণ এবং ৯৫টি আংশিক কেটে ফেলা হয় বলে ওই গবেষণায় উল্লেখ রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭৬ সালে নগরের পাঁচ থানা এলাকায় মোট পাহাড় ছিল ৩২ দশমিক ৩৭ বর্গকিলোমিটার। ২০০৮ সালে তা কমে হয় ১৪ দশমিক শূন্য ২ বর্গকিলোমিটার। এ সময়ে ১৮ দশমিক ৩৪৪ বর্গকিলোমিটার পাহাড় কাটা হয়। এটা মোট পাহাড়ের প্রায় ৫৭ শতাংশ। নগরের বায়েজিদ, খুলশী, পাঁচলাইশ, কোতোয়ালি ও পাহাড়তলী থানা এলাকায় এসব পাহাড় কাটা হয়। সবচেয়ে বেশি ৭৪ শতাংশ পাহাড় কাটা পড়ে পাঁচলাইশে।’