আভা ডেস্কঃ ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণে’ জড়িতদের অবিলম্বে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
লাগাতার আন্দোলনের ষষ্ঠ দিনে গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল রাজু। তিনি স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, বিকেলে প্রতিবাদী কনসার্ট ও সন্ধ্যায় আলো হাতে মৌন মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। প্রতিদিনের মতো গতকাল সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে হামলা হয়। থানায় অভিযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ওই ছাত্রীর একাধিক সহপাঠী জানান, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নবীনবাগের হেলিপ্যাড এলাকায় দাঁড়িয়ে বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিলেন ওই ছাত্রী। সে সময় একটি অটোরিকশা থেকে নেমে সাত-আটজন ছাত্র তাদের গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে বন্ধুকে মারধর করে ওই ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
বুধবার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাজিউর রহমানের লিখিত আবেদন মামলা হিসেবে নেয় গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ও র্যাব।
এর মধ্যে ছয় আসামিকে রোববার বিকেলে জেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে তোলা হলে ১৬৪ ধারায় তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে বিচারক হুমায়ুন কবির, তানিয়া সুলতানা লিপি ও শরিফুর রহমান আসামিদের কারাগারে পাঠান।