নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত ৪০ কাউন্সিলর শপথ নেয়ার জন্য ঢাকার উদেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নগর ভবনের সামনে থেকে তিনটি বাসে তারা ঢাকার উদেশ্যে রওনা হয়েছেন। প্রতিজন কাউন্সিলরের সঙ্গে একজন করে অতিথি নেয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ২ সেপ্টেম্বর পাঁচ বছরের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র হিসেবে শপথ নিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে পরাজিত করে প্রথমবার ও ২০১৮ সালে একই প্রার্থীকে ২য় বারের মতো পরাজিত করে রাজশাহীর নগরপিতা নির্বাচিত হন তিনি।
আগামীকাল বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) গণভবনে তিন সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলররা শপথ নেবেন। শপথবাক্য পাঠ করাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একই দিন ঢাকাস্থ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শপথ নেবেন নবনির্বাচিত সংরক্ষিত ১০ ও সাধারণ ওয়ার্ডের ৩০ কাউন্সিলর। তাদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ মোমিন জানান, গত ৩০ আগস্ট এ সংক্রান্ত চিঠি করপোরেশনেও আসে। এর পর পরই তা মেয়রের হাতে পৌঁছানো হয়। একইসঙ্গে নির্বাচিত কাউন্সিলরদেরকেও শপথবাক্য পাঠ করানোর চিঠি পাঠানো হয়।
এর আগে গত ৩০ জুলাই দলীয় প্রতীকে রাজশাহীর ১৩৮ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।নির্বাচনে ভোট পড়ে ৭৮.৮৬ শতাংশ। নির্বাচনে মোট ৩ লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ২ লাখ ৫০ হাজার ৮৮১ জন ভোটার।
ভোটে সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন:
এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আওয়ামী লীগের সমর্থিত রজব আলী, দুই নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম, তিন নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কামাল হোসেন, চার নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের রুহুল আমিন টুনু, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কামরুজ্জামান কামরু, ছয় নম্বরে আওয়ামী লীগের নুরুজ্জামান টুকু, সাত নম্বরে ওয়াকার্স পার্টির মতিউর রহমান মতি, আট নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি পাভেল হোসেন, নয় নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির রেজাউন নবী দুদু, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির আব্বাস আলী সরদার, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের রবিউল ইসলাম তজু, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের শরিফুল ইসলাম বাবু, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের আবদুল মোমিন, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের আনোয়ার হোসেন আনার। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির আবদুস সোবহান লিটন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির বেলাল আহম্মেদ, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের শাহাদত আলী শাহু, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র শহিদুল ইসলাম পচা, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের তৌহিদুল হক সুমন, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের রবিউল ইসলাম সরকার, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের নিযাম উল আযিম নিযাম, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের আবদুল হামিদ সরকার টেকন, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মাহাতাব হোসেন চৌধুরি, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের আরমান আলী, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের তরিকুল আলম পল্টু, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির আকতারুজ্জামান কোয়েল, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির আনোয়ারুল আমিন আযব, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির আশরাফুল হক বাচ্চু, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মাসুদ রানা শাহিন এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ পন্থি শহিদুল ইসলাম পিন্টু নির্বাচিত হন।
সংরক্ষিত আসনে নারী কাউন্সিলররা হলেন:
এক সংরক্ষিত আসনে ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে তাহেরা খাতুন, দুই সংরক্ষিত আসনে বিএনপির আয়সা খাতুন, তিন সংরক্ষিত আসনে বিএনপির মুসলিমা বেগম বেলী, চার সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের শিরিন আরা খাতুন, পাঁচ সংরক্ষিত আসনে বিএনপির সামসুন নাহার, ছয় সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের আজেদা বেগম, সাত সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের উম্মে সালমা, আট সংরক্ষিত আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাদিরা বেগম, নয় সংরক্ষিত আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী লাইলী বেগম, ও ১০ সংরক্ষিত আসনে জামায়াতের সুলতানা রাজিয়া নির্বাচিত হয়েছেন।