নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী সামাজিক বন বিভাগের ফরেস্টার আমজাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক উৎকোচ গ্রহন-সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পবা, গোদাগাড়ী, তানোর, মোহনপুর, বাগমারা উপজেলায় দ্বায়িত্ব পালন করছেন এই ফরেস্টার আমজাদ। এসব এলাকার সুবিধাভোগীদের অভিযোগ, অনৈতিক সুবিধা গ্রহন ও কমিশন নিয়ে থাকেন আমজাদ। প্রতিটি কাজের জন্য আলাদাভাবে ঠিকাদারদের কাছ থেকে থেকে নেন মোটা অংকের উৎকোচ ।
দীর্ঘ ৪ বছর যাবত তিনি এই দপ্তরের একই চেয়ারে থাকার সুবাদে গড়ে তুলেছেন অনৈতিক সুবিধা গ্রহনকারীদের একটি চক্র।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মোহনপুরের এক ঠিকাদার বলেন, ফরেস্টার আমজাদ হোসেন-সহ বেশ কিছু কর্মকর্তা কর্মচারী এই অনিয়ম আর দূর্নীতির সাথে প্রত্যাক্ষভাবে জড়িত। অন্যান্য কর্মকর্তারা নিজে কোন টাকা হাতে না নিলেও ফরেস্টার আমজাদ নিজ হাতে টাকা নেন তাছাড়া আমজাদকে সুবিধা না দিয়ে কোন কাজ হয় না এই অফিসে। একই অভিযোগ বাগমারা, পবা, গোদাগাড়ী, তানোর উপজেলার সুবিধাভোগীদেরও। সেই সাথে ঠিকদারদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন নেওয়ারও অভিযোগ করেছেন তারা ।
এ বিষয়ে কথা বলতে ফরেস্টার আমজাদের কাছে সাক্ষাৎকার চাইলে তিনি সাক্ষাৎকার দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। কথা বলতে বিভাগীয় কর্মকর্তা নিয়ামুরকে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমি অসুস্থ, ছুটিতে আছি, পরে কথা বলবো।
প্রসঙ্গত, একদল অনুসন্ধানী গণমাধ্যম কর্মী বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন, অচিরেই তথ্য প্রমান-সহ রাজশাহী সামাজিক বন বিভাগের ভয়ঙ্কর সব দূর্ণীতির চিত্র বেরিয়ে আসবে বলে তাদের বিশ্বাস।
উল্লেখ্য, এর আগেও উক্ত দপ্তরের ঠিকাদারী ৫০০ লটের কাজের অনিয়মের সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে। সেখানেও এই দপ্তরটি বিভাগীয় প্রধান ও ফরেস্টার আমজাদের নানা দুর্নীতি সংবাদ প্রকাশ হয়।