নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিভিন্ন থানা থেকে আগত সেই সাথে সমালোচিত পুলিশ সদস্যরাই এখন রাজশাহী মহানগর ডিবির দ্বায়িত্ব পেয়ে তাদের এখন পোয়াবার।
সাম্প্রতিককালে রাজশাহী মহানগর ডিবির প্রায় ৩৯ জন সদস্য কে আরএমপির বিভিন্ন থানায় বদলী করেন সম্মানিত পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক। ইতিমধ্যেই পুলিশ কমিশনার তার কাছের মধ্য দিয়ে রাজশাহী বাসীর কাছে প্রশংসার দাবিদার হয়ে উঠেছেন। বুঝে হোক আর না বুঝেই হোক মহানগর ডিবিতে অন্যান্য থানা থেকে নিয়ে আসা এস আই, এ এস আই গুলো সংশ্লিষ্ট থানায় সমালোচিনসহ বদনামে ভরপুর ছিল। তারাই এখন সমগ্র মহানগর ডিবি পুলিশের দ্বায়িত্ব নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। দাপিয়ে বেড়ানোর মুল উদেশ্য হচ্ছে মাদক স্পর্ট, জুয়ার স্পর্ট থেকে শুরু করে চোরাকারী ছিনতাইকারীদের নিকট মাসিক মাসোহারায় চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন। এমন এক অনুসদ্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিচিত্র এক অপরাধ চিত্র।
১ম পর্বের ধারাবাহিক পর্বে থাকছে মতিহার থানায় দীর্ঘদিন থাকা এস আই আব্দুর রহমানের অন্যায় ও আটক বানিজ্যসহ মাসিক মাসোহারার প্রামাণ্য চিত্র।
একই পর্বে থাকছে কাটাখালী থানায় দীর্ঘদিন থাকা এ এস আই জাহিদের নানা অপকর্ম ও আটক বানিজ্যসহ মাসিক মাসোহারার প্রামাণ্য চিত্র।
যখন তারা থানায় ছিল তখন তাদের মাসিক রেট ছিল কম, প্রোমোশন হয়ে ডিবিতে যোগদান করে এখন মাসোহারার রেট ব্যবসায়ী প্রতি ৫ হাজার করা হয়েছে। টাকা দিলে মাদক ব্যবসার সুযোগ দিবে অন্যথায় আটক করে মামলা।
অনুসন্ধানে এমন চিত্র উঠে এসেছে প্রতি অপরাধ স্পর্ট থেকে।
মতিহার থানা এলাকায় আছে মাদকের ৩০ টিও বেশি স্পর্ট, যার প্রতিটি স্পর্ট এস আই আব্দুর রহমানের নখদর্পনে। আছে মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংখ্যতা। ৩০টি স্পর্টে কারো মাসিক তিন হাজার আবার কারো ৫ হাজার টাকা। তার বিরুদ্ধে মাদক সহ আসামী ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ অনেক পুরনো। সম্প্রতি মতিহার থানা এলাকায় ৫০০ গ্রাম গাঁজা, ১৫০ পিচ ইয়াবা, ২০০ গ্রাম হিরোইন সহ আটক করেন এলাহীর স্ত্রীকে। নগত ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে স্পর্টে তাকে ছেড়ে দেন এস আই রহমান। তবে পলাতক মামলা দেন এলাহীর নামে। সেখানেও মাদক আত্মসাৎ করেন তিনি। এলাকাবাসী ভাষ্যমতে আটক মাদক হেরফের করে ৫০ গ্রাম গাঁজা ও ৩০ ইয়াবার মামলা দিলেও হদিস নেই ২০০ গ্রাম হিরোইনের। এলাকাবাসী আরো জানান, প্রতিনিয়ত অভিযান করে অর্থের বিনিময়ে স্ব-স্থানেই অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেন আসামী। ঘটনার বরাত দিতে গিয়ে রহিম, আসলাম, শরীফ, নামের কয়েকজন জানান শুধু জাহাজঘাট এলাকায় যাওয়ায় তাদের মাদক মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে কারো কাছে ৫ হাজার, কারো কাছে ১৫ হাজার, কারো কাছে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে তবেই ছেড়েছেন আব্দুর রহমান।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন এস আই আব্দুর রহমান বলেন আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়, স্পর্টে যা পেয়েছি তা দিয়েই মামলা দিয়েছি। মানবিক কারন এলাহীর স্ত্রীকে ছেড়ে দিয়েছি। তবে এলাহীকে পলাতক আসামী করা হয়েছে।
অন্যদিকে এ এস আই জাহিদের বিরুদ্ধেও আছে মাদক আটক করে সেই মাদক সেখানে বিক্রি করে দেন তিনি। টাংগন এলাকায় মাদকের ৪০ টি স্পর্ট থেকে মাসিক মাসোহারা নিতেন তিনি। যদিও কাটাখালী থানার অঘোষিত ক্যাশিয়ার এস আই জাহাঙ্গীর ও তদন্ত ওসি তবু কিছু পরিমান টাকা এ এস আই জাহিদ পেতেন। কিন্তু মহানগর ডিবিতে যোগদানের পর মাসিক মাসোহারার জন ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা করে বৃদ্ধি করেছেন তিনি। এখন ঐ এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সঙ্গতা গড়ে প্রতিনিয়ত ব্যবসায়ী না ধরে মাদক সেবী ধরে আটক বানিজ্য চালাচ্ছেন । তার বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নাই। অনুসিদ্ধান্তে গিয়ে নাম প্রকাশে অনচ্ছুক প্রায় ডজনখানেক মানুষ অভিযোগ করে বলেন জাহিদ মাদক ব্যবসায়ী ধরে না, মাদক সেবী ধরেন। কারন হিসাবে তারা বলেন প্রতিটি স্পর্টের মাদক সম্রাটদের সঙ্গে তার লিয়াজু আছে।
কথা বললে এ এস আই জাহিদ জানান, আমি কারো কাছে মাসিক মাসোহারা খাই না। কাউকে ধরলে তাকে অফিসে নিয়ে আসি। অফিস যে ব্যবস্থা নেয় তাই হয়, এখানে আমার কিছুই করার নেই। স্পর্টে টাকার বিনিময়ে আমি কাউকে ছাড়ি না।
সর্বপরি বিষয়ে রাজশাহী মহানগর ডিবির ডিসি আবু আহম্মদ আল মামুনের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আমি বিষয়গুলো জানি না। তবে কেউ এরুপ করলে তদন্ত পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।