নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর পদ্মা নদীতে নৌকা ডুবির তৃতীয় দিন রোববার দুপুরে কনে সুইটির ফুপাতো বোন শিশু রুবাইয়ার (১২) ও খালা আখির (২২) লাশ উদ্ধার করেছে। এনিয়ে মোট ৮জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সকালে তৃতীয় দিনের মত উদ্ধার অভিযান শুরু করে ডুবুরি দল। এদিন ডুবে যাওয়া দ্বিতীয় নৌকাটিও উদ্ধার করেছে ডুবুরি দল।
জেলের জালে আটকা পড়ে নিখোঁজ রুবাইয়া খাতুন স্বর্ণার (১২) লাশ।
উদ্ধার স্বর্ণার বাবার নাম রবিউল ইসলাম রবি। তাদের বাড়ি পবায় উপজেলার আলীগঞ্জ মোল্লাপাড়া। স্বর্ণা কনে সুইটি খাতুন পুর্ণির ফুপাতো বোন। স্বর্ণা অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন।
উদ্ধার ও অনুসন্ধান দলের সমন্বয়কারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অভিযানকালে ডুবে যাওয়া দ্বিতীয় নৌকাটি উদ্ধার করা হয়। দুপুরে পাওয়া যায় শিশু রুবাইয়ার লাশ। সে কনে সুইটির ফুপাতো বোন। এরপর বিকেলে পাওয়া যায় সুইটির খালা আখির লাশ। তবে সুইটিকে এখনো পাওয়া যায়নি। তার সন্ধানে অভিযান চলছে।
এদিকে, শনিবার উদ্ধার পাঁচজনের লাশ পরিবারের কাছে হ্স্তান্তর করা হয়। রাতেই তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে শ্রীরামপুর এলাকায় দুটি নৌকা ডুবে যায়। পরে বালুবাহী একটি নৌকায় ৩২ উঠতে পারলেও ৯জন নিখোঁজ হয়। এদের মধ্যে ৭জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে শিশু মরিয়মকে (৬) মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। নিহতরা হলেন, কনের বড় বোন শাহীনুর বেগমের স্বামী রতন আলী (৩০), তাঁদের মেয়ে মরিয়ম খাতুন (৬), চাচা শামীম হোসেন (৩৫), চাচি শামীমের স্ত্রী মনি খাতুন (৩০), চাচাতো বোন মদিনা ওরফে রশ্মি (৮) ও খালাতো ভাই এখলাস আলী (২২) , ফুপাতো বোন রুবাইয়া (১২) ও খালা আখি (২২)। এখনো নিখোঁজ রয়েছে কনে সুইটি (১৮)