রাজশাহীতে অধ্যক্ষ পেটানোর অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন, দলীয় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ পেটানো অভিযোগ। রাজশাহী জুড়ে তোলপাড়। সামাজিক মাধ্যমে নিন্দার ঝড়। সামাজিক মাধ্যমে নেটিজেনরা বলছে শিক্ষক নিয়োগ বানিজ্যসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতি সঙ্গে জড়িত সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী। এ নিয়ে  তদন্তে কমিটি গঠন করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

বুধবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জানা যায়, সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী তার কার্যালয়ে গত ৭ জুলাই রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে ‘পিটিয়ে’ আহত করেন বলে অভিযোগ ওঠে। তবে বিষয়টি প্রকাশ হয় মঙ্গলবার।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে মারধরের ঘটনা জানার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান এই তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। কমিটিকে যত দ্রুত সম্ভব সরেজমিনে ঘটনা বিস্তারিত জেনে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেন উপাচার্য।

এ ব্যাপারে উপাচার্য মশিউর রহমান বলেন, “অধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পরই পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”

গত বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) রাত ৯টার দিকে রাজশাহী নগরীর থিম ওমর প্লাজায় রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠে। তবে  ওমর ফারুক তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

১৪ জুলাই বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের বিরুদ্ধে প্রপাকাণ্ড ছড়ানোর বিষয়টি তুলে ধরেন। এ সময় সংসদ বলেন, একজন সাংবাদিককে দিয়ে আসাদুজ্জামান আসাদ নানা ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি বিষয়টি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ অভিভাবকদের তদন্ত করে দেখার জন্য অনুরোধ করেন। দোষীদের শাস্তির দাবিও করেন তিনি।

তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করছেন একটি মহল।  অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সংবাদ সম্মেলনে ঘটনা অস্বীকার করেছেন।

অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, দলীয় দলাদলিতে তুচ্ছ ঘটনায় পক্ষপাত মূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত দুই গ্রুপ। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ ও ওমর ফারুক চৌধুরীর পূর্ব শত্রুতার জেরের বহিঃপ্রকাশ এই ঘটনা। রাজশাহীবাসী ঘটনাটিকে দুই ভাবে দেখছেন। কেউ বলছেন, দলীয় কোন্দল, কেউ কেউ বলছেন সংসদ সদস্যের নানা অনিয়ম আর দূর্নীতি বহিঃপ্রকাশ। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে জেলা জুড়ে চলছে চুল ছেড়া বিশ্লেষণ।

এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে এবং বড় কোন ঘটনার উৎপত্তি বা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছেন অপরাধ বিশ্লেষকরা।

Next Post

শাহজাদপুরে হারানো গুণীজন,রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতির বিবেকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা

বৃহস্পতি জুলাই ১৪ , ২০২২
নেহাল খানঃ বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে শাহজাদপুর পৌর এলাকার বিসিক বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পিপিডি হলরুমে শাহজাদপুরের হারানো গুণীজন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতির বিবেকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা ও তাদের আত্নার মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. রাকিবুল ইসলাম খান। শাহজাদপুর উপজেলা পরিষদ […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links