নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রমজানের আগেই রাজশাহীর বাজারে বেড়েছে সকল পণ্যের দাম। তবে স্থিতিশীল রয়েছে চালের দাম। হঠাৎ বাজারের পণ্যের দাম এমন বৃদ্ধির কারণে ক্ষোভ জানিয়েছে ক্রেতারা। এদিকে সবজি ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, আমদানি কম এবং পাইকারি বেশি দামে কেনার জন্যে ও রমজানকে সামনে রেখে এখন সকল সবজির দাম বেশি।
বাজারে পেঁয়াজ কেজিতে ৫ ও কাঁচা মরিচ বেড়েছে ১০ টাকা। এছাড়া সবজিতে বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা। মাংসের বাজারে মুরগি কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি। এছাড়া গরুর মাংসও কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি বেড়েছে।
গতকাল রোববার বিকেলে নগরীর মাস্টারপাড়া কাঁচাবাজারে ঘুরে দেখা যায়, আলু বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকায়, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, সজিনা ডাঁঠা বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৭০ টাকায়। শসা বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা, বাধাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ডুমুর ৩৫ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, লাউ ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, কচুর লতি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, কলা প্রতিহালি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ১২ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সকল মাংসের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকা, সোনালী ২৪০ টাকা, সোনালী লাল ২৩০ টাকা, সাদা ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি ৪৩০ টাকা, হাঁস ২৮০ টাকা। এদিকে প্রতি কেজি গরুর মাংসে বেড়েছে ২০ টাকা। বর্তমানে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৪০ টাকা, বকরি ৬৫০ টাকা, খাসি ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাংস কিনতে আসা রোকেয়া বেগম জানান, এভাবে মাংসের দাম বাড়লে আমরা কোথায় যাবো? প্রতি সপ্তাহে বাড়ছে মাংসের দাম। এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া উচিত। মাংস ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান জানান, মাংসের চাহিদার তুলনায় পশুর চাহিদা কম। বাইরে থেকে পশু কম আসছে তাই মাংসের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা এখন নেই।
এদিকে মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, নদীর মাছ কেজিতে ৫০, ১০০ এমনকি ২০০ টাকা বেশি বেড়েছে। প্রতিকেজি রিঠা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, শোল মাছ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে ৫৫০ টাকা, জাপানি রুই ১৯০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, টাকি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, গুচি ৮০০ টাকা, কাতল ২৯০ থেকে ৩৯০ টাকা, পুঁঠি ১৮০ টাকা, বাটা ২০০ টাকা, পাবদা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০, পিউলি ৫০০, ময়া ৫৫০, মিরকা ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকা, রুই ৩৫০ থেকে ৪৯০ টাকা, চিতল ৬৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, ফলি ৩০০ টাকা, বোয়াল ৮০০ টাকা থেকে ১১০০ দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে চালের বাজারে দেখা যায়, মিনিকেট ৫৫ টাকা, বাসমতি ৬৫ টাকা, পায়জাম ৬০ টাকা, কাজল লতা ৬০ টাকা, শরনা ৩৫ টাকা, কালিজিরা ৮৫ টাকা, চিনিগুড়া ৯০ টাকা, কাটারি আতপ ৭০ টাকা, পায়জাম আতপ ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে মুদি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ছোলা কেজিতে ৮০ টাকা, ছোলার ডাল ৯০ টাকা, এলচি মসুর, ৬০ টাকা, সোনামুগ ১২০ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১০০ টাকা, সয়াবিন তেল ৮০ টাকা, জিরা ১০০ গ্রাম ৪০ টাকা, চিনি ৫৬ টাকা, মটর ৪০ টাকা, বুটের বেসন ১০০ টাকা, খেজুর ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।