আভা ডেস্কঃ মাত্র একমাস আগেই সমকামিতার জন্য পাথর ছুড়ে মৃত্যুর শাস্তি সম্বলিত আইন চালু করেছিলো ব্রুনেই। এখন তা থেকে সরে আসছে দেশটি।দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছোট এই দেশটি যখন সমকামিতার জন্য মৃত্যুর বিধান চালু করে তখন বিশ্বজুড়ে তা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
যদিও দেশটিতে সমকামিতা আগে থেকেই নিষিদ্ধ ছিল তবে এর শাস্তি ছিল দশ বছরের কারাদণ্ড।মৃত্যুর বিধান চালু করা একমাস আগের আইনটির প্রয়োগ থেকে সরে আসার কথা জানালেন দেশটির সুলতান।রোববার সুলতান হাসানুল বলকিয়া নতুন আইনে থাকা মৃত্যুদণ্ডের বিধানের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।আইনটি নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ ও বিভিন্ন সেলিব্রেটিদের প্রতিবাদ ও দেশটিকে বয়কটের ঘোষণার পর এমন সিদ্ধান্ত এলো।
এর আগে কিছু অপরাধের জন্য বিধান থাকলেও ১৯৫৭ সালের পর থেকে ব্রুনেই কোনও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেনি।গত মাসেই দেশটির ইসলামি আইন বা শরিয়ার কঠোর বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছিলো।
এক বক্তৃতায় সুলতান বলেছিলেন যে শরিয়া পেনাল কোড অর্ডার বা এসপিসিওর বিষয়ে ওঠা প্রশ্ন নিয়ে তিনি সচেতন আছেন।
এখন এসপিসিওর ওপর স্থগিতাদেশ দেয়ার সময়েও তিনি নতুন আইনের পক্ষে কথা বলেছেন।দেশটিতে এবারই প্রথম শাসক কেউ প্রকাশ্যে নিজের করা আইনের বিষয়ে কথা বললেন।দেশটির প্রায় সাড়ে চার লাখ অধিবাসীর মধ্যে মুসলিমদের সংখ্যা দুই তৃতীয়াংশ।
আইনে আরও যা আছে:
•নবী মুহাম্মদের অবমাননা, ভেজাল মেশানো, ধর্ষণসহ কিছু অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।
•লেসবিয়ানদের জন্য ৪০টি বেত্রাঘাত বা দশ বছর জেল
•চুরির শাস্তি হাত বিচ্ছিন্ন করা
•১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য ইসলাম ছাড়া অন্য কিছু শেখাতে প্রভাবিত করার জন্য জেল জরিমানা
তবে এ আইন নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় বিশ্বজুড়ে।
জাতিসংঘ সতর্ক করে বলে এটি মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র বিরোধী যা ২০০৬ সালে ব্রুনেই রেটিফাই করেছে।
বিবিসি