আভা ডেস্কঃ রংপুরের গঙ্গাচড়ায় কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীতে পানি বেড়েছে। নদীতীরবর্তী চরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানি বসতবাড়িতে ঢুকে পড়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৪ হাজার পরিবার।
অন্যদিকে তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট, আবাদি জমিসহ ধান ও পাটের ক্ষেত। একই সঙ্গে কোলকোন্দের বিনবিনা চরে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মতি বাঁধটি বিলীন হয়ে গেছে।
সোমবার (৫ জুলাই) গঙ্গাচড়ার তিস্তা নদীবেষ্টিত এলাকাগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়াতে অনেকেই উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। ভাঙনে সেখানকার বিনবিনা চরের ৬টি পরিবারের বাড়িঘর তিস্তায় বিলীন হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হুমকিতে পড়েছে রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পানিবন্দি পরিবারগুলো মানবেতর জীবন-যাপন করছে। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কটে পড়েছেন তারা। অনেকে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ ঘরের বিছানার ওপরে জিনিসপত্র রেখে বসতবাড়িতেই পরে আছেন। দুর্ভোগ বেড়েছে পানিবন্দি বয়স্ক ব্যক্তি, শিশু ও গবাদিপশুর। কোথাও কোমরপানি, কোথাও হাঁটুপানি হলেও ছোট নৌকা ও বাঁশের ভেলায় ব্যবহার করে চলাচল করছেন লোকজন।
পানিবন্দি লক্ষীটারী ইউনিয়নের পশ্চিম ইচলি, শংকরদহ, বাগেরহাট আশ্রয়ণ ও পূর্ব ইচলির ১ হাজার পরিবার। কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা, মটুকপুর, চিলাখাল, খলাইরচরে একই অবস্থা। সেখানে অন্তত দেড় হাজার পরিবার হাঁটু ও কোমরপানিতে রয়েছেন।
নোহালী ইউনিয়নের মিনার বাজার, কচুয়াচর, বৈরাতী বাঁধের ধার, চরনোহালী, বাগডহরা চরের, মর্নেয়া ইউনিয়নের মর্নেয়ার চর, তালপট্টি, আলালচর, নরসিং চরের বাসিন্দারা পানিবন্দি অবস্থায় মানবতের জীবনযাপন করছে।
একই অবস্থা গজঘণ্টা ইউনিয়নের কালিরচর, ছালাপাক, গাউছিয়া বাজার, জয়দেব, মইশাসুর, রামদেব চর ও আলমবিদিতর এবং গঙ্গাচড়া ইউনিয়নের আরও সহস্রাধিক পরিবারের।
তিস্তায় পানি বৃদ্ধির কথা জানিয়ে লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী জানান, ইউনিয়নে ১ হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে ভাঙন অব্যাহত আছে। পানিবন্দি পরিবারগুলোর জন্য দ্রুত ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন।