নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীতে যুবলীগকর্মী সানোয়ার হোসেন রাসেল (৩০) হত্যার দ্রুত বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল,মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন এলাকাবাসী। রোববার সকালে নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, রাসেল নগরীর বাস্তুহারা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তার ঘাতকদের শাস্তির দাবিতে রোববার সকালে বাস্তুহারা এবং শিরোইল কলোনী এলাকার বাসিন্দারা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি নগরীর বাস্তহারা এলাকাথেকে শুরু করে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সামনে দিয়ে মালোপাড়া হয়ে সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে নিহত রাসেলের পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন, এলাকাবাসী এবং নগর যুবলীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। কর্মসূচি থেকে রাসেল হত্যকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয় ।
মানববন্ধন-সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নগর যুবলীগের সভাপতি রমজান আলী, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বাচ্চু, সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের রাজশাহী মহানগর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী,মহানগর যুবলীগের সহ-সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, নিহত রাসেলের বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন রাজা, তার স্ত্রী বর্ষা, মা আনোয়ারা বেওয়া প্রমুখ। তারা মামলার এজাহার থেকে বাদ পড়া হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যদেরও শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। বিক্ষোভ মিছিল,মানববন্ধন ও সমাবেশ শেষে এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ মিছিল করতে করতে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষীন করে পূর্ণরায় বাস্তুহারা এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ নভেম্বর বুধবার দুপুরে রাজশাহী রেল ভবনে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে রাসেলসহ আরো অন্তত পাঁচজন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নগর যুবলীগের সদস্য রাসেল মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনার নগরীর চন্দ্রিমায় থানায় নিহত রাসেলের ভাই মনোয়ার হোসেন রনি বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা সাত থেকে আটজনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় জেএসসি পরীক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও আসামি আছে। পরিবারের দাবি, হত্যাকাণ্ডে জড়িত অনেকেই মামলার এজাহার থেকে বাদ পড়েছেন। এই মামলার এজাহারে পুলিশ ইচ্ছেমতো আসামি করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।