আম বড় ভুমিকা রাখে রাজশাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকার মানুষ।

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে আম বড় ভূমিকা রাখছে। এটাকে এ অঞ্চলের অর্থকারী ফসল বলা হয়। আমের উপর নির্ভরশীল রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৮৫ শতাংশ মানুষ এছাড়া এখানকার সংস্কৃতিও আম কেন্দ্রিক।

শনিবার (২ জুন) সকালে রাজশাহী চেম্বার ভবনে বাংলানিউজ আয়োজিত ‘আমের দেশে নতুন বেশে’ শীর্ষক বিশেষজ্ঞ আলোচনায় বক্তাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে এ অঞ্চলের আমের সমস্যা ও সম্ভাবনা।

এতে সভাপতিত্ব করেন স্যাটেলাইট টেলিভিশন নিউজটোয়েন্টিফোর ও রেডিও ক্যাপিটালের সিইও এবং বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম। বাংলানিউজের কনসালট্যান্ট এডিটর জুয়েল মাজহারের পরিচালনায় বিশেষজ্ঞ আলোচনায় মূল্যবান মতামত দেন আমগবেষক ও সংশ্লিষ্টরা।

আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহিদুল্লাহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সালাহ উদ্দিন, রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত পাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইনতত্ত্ব) নাছিমা খাতুন, জেলা নেজারত ডেপুটি কালেক্টর শরীফ আসিফ রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান, আম চাষি ও ব্যবসায়ী ইসমাঈল খান শামীম, খন্দকার মনিরুজ্জামান মিনার, জিল্লুর রহমান, রাজশাহী অ্যাগ্রো ফুড প্রডিউসার সোসাইটির আহ্বায়ক আনোয়ারুল হক, আম গবেষক ও লেখক মো. মাহাবুব সিদ্দিকী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ আম গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শরফ উদ্দিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল-হুদা প্রমুখ।

আলোচনা সভার শুরুতেই বক্তব্য রাখেন রাজশাহীতে বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট শরীফ সুমন। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলানিউজের চট্টগ্রাম ব্যুরো এডিটর তপন চক্রবর্তী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী জেলা প্রশাসক এস এম আব্দুল কাদের বলেন, রাজশাহ অঞ্চলের মূল অর্থকারী ফসল আম। এই আম চাষের উপর সারা মাসে বিভিন্ন অনুষ্ঠান চলে। এ অঞ্চলের মানুষ ও সংস্কৃতি আমের উপর নির্ভর।

তিনি বলেন, সবার মতামত নিয়ে আম পাকার অতীতের ইতিহাস পর্যালোচনা করে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট বাই রোটেশনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এসব উদ্যোগ নেওয়ায় ঢাকায় যারা আম খায় তারা বুঝতে পারলেন রাজশাহী থেকে আর ফরমালিনযুক্ত আম আসবে না। যারা পত্র-পত্রিকা পড়েন টিভি, অনলাইন দেখেন তারা বুঝবেন রাজশাহীর আমে কোনো ফরমালিন নাই।

ধন্যবাদ জানিয়ে এসএম কাদের বলেন, রাজশাহী আমার, এখানকার মানুষ আমি, সারা জীবনই রাজশাহীকে ভালোবেসে যাবো। এই আয়োজন যারা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

তিনি আরও বলেন, আমি জেলা প্রশাসক, তাই সব কিছুই দেখতে হয়। একদিকে মাদক ব্যবসায়ীদের ধরি, অপরদিকে জেলাখানায় গিয়ে কেমন করে তারা মাদকসেবী হয় সেটাও আমাকে দেখতে হয়। হকারদেরও দেখতে হয়, ব্যবসায়ীদেরও। আমার বিচরণ সাধারণ মানুষের সঙ্গে।

‘আমগুলো কিভাবে রফতানি করা যায়, সে বিষয়গুলো দেখি। আমি নিজে অনেকগুলো বাগানে গিয়েছি, আমচাষিদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা চাই আমের সঠিক মূল্যই যেন চাষিরা পায়। ঢাকা শহরের ১৩টি রফতানি বাজার সম্পর্কে যে আলোচনা হয়েছে আমি সে বিষয়ে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করবো। পরিবহনে যদি আম চাষিরা কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হন, সঙ্গে সঙ্গে জানাবেন। আমার মোবাইল নম্বর সবার জন্য উন্মক্ত। এতে আমার কোনো অফিসে দুর্নীতি হতে পারবে না,’ বলেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক।

তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসক হিসেবে আম চাষের বিষয়ে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবো। আম বিষয়ে সমস্যার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিতে নিয়ে আসা হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে নঈম নিজাম বলেন, আমের দেশ রাজশাহীতে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। আম ও রাজশাহী অত্যন্ত লোভনীয়।

তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক আব্দুল কাদের অত্যন্ত বিনয়ী। সবাই মানুষের জন্য কাজ করতে পারে না। আপনি সেটা স্বল্প বক্তব্যের মধ্য দিয়েই ফুটিয়ে তুলেছেন। দশম শ্রেণির একজন ছাত্র রাতে ফোন দিলেও তার সমস্যা সামাধান করেছেন তিনি।

‘রানি ভিক্টোরিয়ার আমলে এখানে ব্রিটিশ শাসন ছিল। তিনি তখন এই আম খেতে চেয়েছিলেন। সে সময় ব্রিটিশ পরিবারের এতো আম দেখার সুযোগ ছিল না। তখন রানি আম খেতে চেয়েছিলেন। চার পাঁচ মাস লেগেছিল আম পাঠানোর জন্য। সেটা পচে গিয়েছিল। পরে আবার পাঠানোর জন্য বলেছিলেন তিনি।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আম গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শরাফ উদ্দিন বলেন, রাজশাহী-চাঁপাই অঞ্চলের ৮০/৮৫ ভাগ মানুষ আমের সঙ্গে জড়িত। এই আম অঞ্চলের কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নে আরও ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি বলেন, আমের পাতা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আর আঁটির শক্ত অংশটি বাদ দিয়ে ভেতরের শ্বাস থেকে পেস্ট ও ভোজ্য তেল তৈরি করা হয়। তাই আম রফতানির অনেক সুযোগ রয়েছে। এর জন্য সুষ্ঠু পরিকল্পনার দরকার।

‘আম রফতানির যে সুযোগ রয়েছে। অন্যান্য ফল বা ফসলের সেটা নেই। আমরা সবসময়ই চাচ্ছি আম হবে ভালো মানের।’

সময় নির্ধারণ সম্পর্কে এই কর্মকর্তা বলেন, ২০১৪-১৫ সালে কার্বাইড ও ফরমালিন অভিযান আম চাষিদের ক্ষতি করে দিয়েছে। এ কারণে ভোক্তা যাতে ভালো আম পায় সেজন্যই বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় এমন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

ব্যাগিং পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ব্যাগিং আমটা সংগ্রহ করার কমপক্ষে সাতদিন পর খেতে হবে এবং ১৪ দিন পর্যন্ত খাওয়া যাবে। এ পদ্ধতিতে ৪২ থেকে ১১০ দিন আম ব্যাগে থাকে। কোনো বালাইনাশক ব্যবহার করা হয় না। এভাবে বালাইনাশকের ব্যবহার আস্তে আস্তে কমে আসবে। ব্যাগিং পদ্ধতির মাধ্যমে আম পৃথিবীর যে কোনো দেশে রফতানির জন্য দ্বার খোলা রয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তেরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল বলেন, আম পাকবে প্রাকৃতিক নিয়মে। কিছু আম তিন, পাঁচ, সাত দিনে পাকবে। কিন্তু ব্যবসায়ী কিংবা কৃষক বলছেন, একদিনেই পাকা দরকার। তারা ইথোফেন ব্যবহার করছেন। ইথোফেন ব্যবহার কিন্তু ক্ষতিকর নয়। ইথোফেন সেফ। তবে চাষিরা যেন নিরাপদে ব্যবহার করতে পারেন সেটি নিশ্চিত হওয়া দরকার।

তিনি বলেন, চাঁপাইয়ে দ্রুত আম বাগান বাড়ছে। আবহাওয়া ও মাটি বাগানের উপযোগী। তাই মানুষ অন্য ফসল বাদ দিয়ে আমের দিকে ঝুঁকছে। নিরাপদ আম উৎপাদনের জন্য ১০ ব্যাচ করে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। এবছর ৩শ জন প্রশিক্ষণের আওতায় এসেছে। এবছর এক হাজার আম চাষ নির্দেশিকা প্রকাশ করেছি।

‘রাজশাহীর বাজারদর ভালো না। অথচ গড় ফলন বিঘাপ্রতি ৩০-৩২ মণ। ৮০ টাকা হলে ২৪ হাজার টাকা হয়। এর এক তৃতীয়াংশ খরচ। বছরে ১৫ থেকে ১৭ হাজার আয় করছে। এটা বাড়ানো দরকার।’

মঞ্জুরুল হুদা বলেন, আম নিয়ে অনেক প্রত্যাশা। কোয়ালিটি আম বাড়ছে। তাই চাষিরা যেন দাম পায়। চাষিরা যেন হয়রানির শিকার না হয়। বিশ্বের অন্য দেশে যেন আম পৌঁছে যায়, সে উদ্যোগ নেওয়া দরকার।

ফ্রুট ব্যাগিংয়ের আম বিদেশে রফতানি করা নিয়ে গত বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতার বর্ণনা করে রাজশাহী অ্যাগ্রো ফুড প্রডিউসার সোসাইটির আহ্বায়ক আনোয়ারুল হক বলেন, ২০১৭ সালে একদল অসাধু ব্যবসায়ী ফ্রুট ব্যাগিংয়ের নামে ননফ্রুট ব্যাগিং আম বিদেশে রফতানি করে। অথচ রাজশাহী, চাঁপাই প্রচুর ফ্রুট ব্যাগিং আম রপ্তানি থেকে বঞ্চিত হয়। তবে আশার কথা আমাদের দেশেই ফ্রুট ব্যাগিং আমের ভোক্তা সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৬ সাল থেকে আমরা আম রফতানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে শিখেছি। ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন আমে বিপ্লব ঘটাতে হবে। আমরা সেটা করার চেষ্টা করছি।

আম গবেষক ও লেখক মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই আম হচ্ছে। তবে আমের স্থান হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, সাতক্ষীরা, রংপুর, বগুড়া অনত্যম। এসব অঞ্চলে উৎপাদন হওয়া আমের মধ্যে চার-পাঁচ প্রকার আম ভাঙার ক্ষেত্রে সময় বেঁধে দেওয়া যেতে পারে।

তিনি বলেন, হাড়িভাঙা রংপুরের আম। এটা প্রায় ১ মাস চলে। প্রশাসন থেকে মাত্র ৪-৫ প্রকার জাতের আম ভাঙার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া যেতে পারে। সেই কাজটি প্রশাসন করছে। তবে যেভাবে বিষ প্রয়োগ হচ্ছে তাতে ক্ষতি হচ্ছে। এতে বন্ধু মাছি মরছে। বন্ধু মাছি পরগায়ন ঘটাতে পারছে না। আম গাছে ২-৩ বার বিষ প্রয়োগ করলেই যথেষ্ট।

আমচাষি ও ব্যবসায়ী ইসমাঈল খান শামীম বলেন, আম্রপালি আমের যে স্বাদ, চাষ যেভাবে বাড়ছে তাতে আগামী ১০ বছরের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আম্রপালি আম চাষে বিপ্লব হবে।

‘ফ্রুট ফ্লাই সবচেয়ে ক্ষতিকর আমের জন্য। এটা হয় বৃষ্টিপাতের কারণে। মাছি পোকার আক্রমণের কারণেই ফ্রুট ব্যাগিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। এবার কিন্তু ৭ কোটি ব্যাগিং হয়েছে। এখন পর্যন্ত কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। চায়না থেকে নিম্নমানের ব্যাগ আমদানি করছে। এতে অনেক কৃষক প্রতারিত হচ্ছেন। কোনো নীতিমালা নেই।’

আম সংরক্ষণে রাজশাহী অঞ্চলে হিমাগার স্থাপনের দাবি জানিয়ে আম ব্যবসায়ী খন্দকার মনিরুজ্জামান মিনার বলেন, রাজশাহীর আম বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষ যাতে খেতে পারেন সেজন্য আম সংরক্ষণ করা দরকার। আমচাষিরা এখন যেভাবে বিপাকে পড়ছেন, হিমাগার থাকলে এমন সমস্যায় পড়তে হতো না।

তিনি বলেন, কোনো ফসলের উপর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া যায় না। আম পাকলেই আমরা বুঝতে পারি আমটা পেকেছে। ভূ-প্রকৃতি একেক জায়গায় একেক ধরনের। দক্ষিণাঞ্চলের আমগুলো আগে শুরু হয়। উত্তরবঙ্গের আমগুলো পরে শুরু হয়। সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কারণে কৃষকদের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

‘বর্তমানে আমার কাছে এক হাজার মণ আম আছে। এ আম আমি কোথায় রফতানি করবো। ব্যক্তিগত গ্রাহকদের কাছে ২শ’ মণ বিক্রি করতে পারি। বাকিগুলো কাকে দেবো।’

ইথোফেন হরমোনের মাধ্যমে অপরিপক্ব আম পাকানোর অসাধু চক্রটিকে দমনের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান মনিরুজ্জামান মিনার।

এদিকে আলোচনায় অংশ নিয়ে আমচাষি জিল্লুর রহমান বলেন, বাপ-দাদার আমল থেকে দেখে যেভাবে শিখেছি-মুকুল যখন আসে কীটনাশক দিয়ে স্প্রে করলেই আম হয়ে যেত, এটা ২০ বছর আগেও। তার আগে স্প্রে করার পদ্ধতি ছিল না। প্রকৃতিগতভাবেই হতো। কিন্তু এখন স্প্রে না করলে আম হয় না।

রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম ভাঙার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার কারণে চাষি ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

গত কয়েকদিন বাংলানিউজের একটি রিপোর্টিং টিম চষে বেড়িয়েছে রাজশাহী ও ম্যাঙ্গো সিটি চাঁপাইয়ের বিভিন্ন বাগান-মোকামে। কথা বলেছেন আমচাষি, ব্যবসায়ী ও আম বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে। এতে বেরিয়ে এসেছে আম নিয়ে নতুন সব বিষয়-বৈচিত্র্য। পাশাপাশি কাজ দলটি করেছে ক্রমে বিস্তার লাভ করা সম্ভাবনাময় খাত ম্যাঙ্গো ট্যুরিজম নিয়েও।

বাংলা নিউজ

Next Post

শিয়া জোট যুদ্ধ ঘোষনা যুক্তরাষ্ট্র এর বিরুদ্ধে।

শনি জুন ২ , ২০১৮
ইরাকের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেশির ভাগ আসনে বিজয়ী জোট আসায়েব আহল আল হাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার লক্ষ্যে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ যে বিল আনছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাগদাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ওই জোট। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ সর্বসম্মতভাবে একটি বিলে ভোট দিয়েছেন যার আওতায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শিয়া জোট আসাইব আহল […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links