আভা ডেস্ক : ‘দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না- সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি।’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানটার সঙ্গে মেসির জীবনের বড় ফারাক আছে। সোনার খাঁচায় জীবনের রঙিন দিনগুলি বাঁধিয়ে রাখতে না পারায় হয়তো কবির আফসোস ছিল। আর মেসির জীবন সোনার খাঁচায় বন্দি। মেসির জীবনের জন্য তাই আফসোস সাবেক জুভেন্টাস, রোমা এবং ইতালি স্ট্রাইকারের। তার মতে, মেসির জীবনে নাকি কোন রংই নেই। বন্দী জীবন তার। এবং তা সোনা দিয়ে মোড়ানো কারাগারে।
ফুটবলকে ২০১৬ সালে বিদায় বলেছেন ইতালির স্ট্রাইকার দানি অসভালদো। তিনি চাইলে হয়তো আরও কিছুদিন খেলে যেতে পারতেন। বয়স সবে ৩২ বছর। কিন্তু মেসির মতো জীবন চাননি বলে তিনি অবসর নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছন। তার মতে, ফুটবলারদের জীবন মানেই বন্দি। তাই তার মনে হয়েছে এই ঘেরাটোপে বন্দি জীবন আর কতদিন। সেই চিন্তা থেকে তার মনে হয়েছে ফুটবলের সঙ্গে আর না।
স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মার্কাকে এই তারকা বলেন, ‘যদি প্রশ্ন করা হয় মেসির মতো হতে চাই কিনা; আমি বলবো অবশ্যই না। আমি হয়তো তার মতো খেলতে চাইতাম। কিন্তু তার মতো জীবন চাই না আমি। কারণ সে সোনা দিয়ে মোড়ানো এক খাঁচায় বন্দি জীবন কাটায়।’
বন্দি বলার কারণটাও জানিয়েছেন অসভালদো, ‘মেসি চাইলেই কোথাও যেতে পারে না। সে যখন তখন একটা পানীয়তে চুমুক দিতে পারে না। ধরে নিচ্ছি সে বড় একটা টিভি কিনলো। কিন্তু সে কখনো তার শোবার ঘরে সেটা রাখবে না। ভাবুন তো, সে একটা ফেরারি গাড়ি ব্যবহার করে। অথচ তার বাড়ি থেকে বার্সেলোনার অনুশীলন মাঠ মাত্র ১৫ মিনিটের রাস্তা।’ অসভালদোর মতো করে ভাবলে, ১৫ মিনিটের রাস্তার জন্য ফেরারি গাড়ি অপ্রয়োজনীয়ই মনে হবে।
তবে মেসি-রোনালদোদের নিয়ন্ত্রিত জীবনের জন্যই তারা বিশ্ব তারকা। পায়ের জাদুতে তারা মোহিত করে রেখেছে সারা বিশ্বকে। হয়তো সেটা তাদের বন্দি জীবনের কারণেই সম্ভব হয়েছে। অসভালদো যেমন ফুটবলের বন্দি জীবন থেকে বের হয়ে অন্য কোথায় জীবনের মানে খুঁজছেন। তেমিন মেসি-রোনালদো জীবনটা উপভোগ করছেন ফুটবল দিয়ে। কারাগারে পরিবারের চিঠি আসলে যে অনুভূতি। হয়তো মেসি-রোনালদোর সোনার খাঁচায় বন্দি জীবনে ভক্তদের ভালোবাসায় সিক্ত বার্তা তেমন অনুভূতি জাগায়। সমকাল