আভা ডেস্কঃ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির নুরুল ইসলাম বলেছেন, ‘হেফাজতে ইসলাম আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া বা গোপন তৎপরতার পথ অনুসরণ বা অনুমোদন করে না। এটা জানা থাকার পরও ক্ষমতাসীন দল ও তাদের সমর্থকদের মধ্যকার ইসলামবিদ্বেষী মহল ওলামায়ে কেরাম ও হেফাজতের নেতাকর্মীদের ওপর কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার দায় চাপানোর অপচেষ্টা করছে।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে নুরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশবরেণ্য আলেমদের শান্তিপূর্ণ ও যৌক্তিক উপদেশ এবং দাবিকে বিতর্কিত করার জন্য কুষ্টিয়ায় কে বা কারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার মাধ্যমে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করেছে। ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই আমরা। সিসিটিভি ফুটেজ দেখা যায়, চিকন দুজন মানুষ ভাস্কর্যে উঠেছে। কিন্তু ধরে আনল মোটা-মোটা দাঁড়িওয়ালা দুজনকে। সুতরাং তদন্ত কীভাবে হলো? সিসিটিভি ফুটেজে দুজনকে উঠতে দেখা গেল, নামতে তো দেখা গেল না।
তিনি আরও বলেন, ‘ধোলাইপাড়ে নির্মিতব্য ভাস্কর্য নিয়ে দেশের সর্বত্র ব্যাপক বিতর্ক তৈরি করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে যেকোনো প্রাণীর ভাস্কর্য নির্মাণের বিষয়টি ইসলামসম্মত নয় বলে সর্বসম্মত ফতোয়া দেওয়া হয়েছে। চিঠি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে তা অবহিত করা হয়েছে। হেফাজতে ইসলাম ভাস্কর্য নির্মাণ বিষয়ে সরকারকে ইসলামের আকিদা, ঈমান ও শিক্ষার বিরুদ্ধে গিয়ে পৌত্তলিকতার প্রসারের রাষ্ট্রীয় গোমরাহির পথ পরিহার করার আহ্বান জানাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের উপদেষ্টা আবুল কালাম, আব্দুল হামিদ, আব্দুল আউয়াল, আহমদ আবদুল কাদের, অ্যাডভোকেট আব্দুর রাকিব, যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবীব, মামুনুল হক, সহকারী মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউল্লাহ আমিন।