আভা ডেস্কঃ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে যখন দলীয় প্রধানের পদ থেকে ছাড়ার ঘোষণা দিচ্ছিলেন, তখন নিজের কান্ন ধরে রাখার চেষ্টা করছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেননি। ব্রেক্সিট প্রশ্নে এমপিদের একজোট করতে ব্যর্থ মে কান্নাভেজা চোখে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।-খবর রয়টার্সের
শুক্রবার ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে স্বামীকে পাশে নিয়ে নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেন ব্রিটেনের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। তিনি বলেন, আমি অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই আমার চাকরি ছাড়তে যাচ্ছি। যেটা আমার জীবনকে সম্মানিত করেছিল।
বিবৃতিতে মে বলেন, এমপিদের বোঝাতে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। দুঃখজনক হলো, আমি তাদের বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্যের স্বার্থে এই বিষয়টি এগিয়ে নেয়ার জন্য একজন নতুন প্রধানমন্ত্রীর প্রয়োজনীয়তা এখন আমার কাছে স্পষ্ট।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে সম্পর্কোচ্ছেদের প্রক্রিয়া নিয়ে তাড়াহুড়া থাকায় কনজারভেটিভ পার্টি এ সপ্তাহেই নতুন নেতা নির্বাচনের কাজ শুরু করতে পারে।
তেরেসা মে আরও বলেন, একটি ব্রেক্সিট চুক্তিতে উপনীত হতে ব্যর্থ হয়ে আমি খুবই অনুতপ্ত। আশা করি আমার উত্তরসূরি একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন। যদি উভয় পক্ষই ছাড় দিতে রাজি হয় তবেই কেবল এই ঐকমত্য সম্ভব।
২০১৬ সালে ব্রেক্সিট গণভোটের পর তখনকার প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামরনের স্থলাভিষিক্ত হন তেরেসা মে। এরপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনকে বের করে নিয়ে আসা নিয়ে ব্যাপক সংকটের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটেনকে সবচেয়ে কম সময় নেতৃত্ব দেয়া প্রধানমন্ত্রীদের একজন তিনি। দেশটির আধুনিক রাজনীতির ইতিহাসে তাকে সবচেয়ে বিশৃঙ্খল সময়টি পার করতে হয়েছে।
যুগান্তর