আভা ডেস্ক : ব্যাটসম্যানরা সমস্যায় পড়লেই মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের দ্বারস্থ হন। ব্যাটসম্যানদের দুঃসময়ের বন্ধু তিনি। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালরা তো আছেনই। সালাহউদ্দিনের টিপসে ব্যাটিং অনুশীলন করে দুর্বলতা কাটিয়ে উঠেছেন মুমিনুল হকও। সৌম্য সরকারও সালাহউদ্দিনের ক্লাসে নিজের ত্রুটি সংশোধনের চেষ্টা করছেন। আগামীকাল সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হবে এশিয়া কাপ। বাংলাদেশ দলের চিন্তা লোয়ার মিডলঅর্ডার ব্যাটিং নিয়ে। এই কোচ জানালেন, ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামো ঠিক না থাকায় এই পজিশনে ভালো ক্রিকেটার পাওয়া যাচ্ছে না।
কাল মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ইনডোরে সৌম্যর ব্যাটিং-ত্রুটি ধরিয়ে দিচ্ছিলেন সালাহউদ্দিন। লোয়ার মিডলঅর্ডারে কেন ভালো ব্যাটসম্যান তৈরি হচ্ছে না? এই কোচ বলেন, ‘আমাদের দেশে খুব কম ছেলে এই পজিশনের জন্য যোগ্য। আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের খেলার কাঠামোর কারণেই এমন খেলোয়াড় তৈরি হচ্ছে না। এজন্যই ছয়, সাত ও আট নম্বরের ব্যাটসম্যান গড়ে ওঠে না।’ টিম ম্যানেজমেন্ট এশিয়া কাপে ছয়-সাত নম্বর পজিশনের জন্য মোহাম্মদ মিঠুনকে বেছে নিয়েছে। তবে তাকে শুধু একটি সিরিজ সুযোগ দেয়ার পক্ষে নন সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘এই পজিশনের জন্য ভালো ব্যাটসম্যান তৈরি করতে হলে তাকে যথেষ্ট সুযোগ দিতে হবে। দু’একটা ম্যাচে সুযোগ দিয়ে বলে দেবেন যে সে পারে না, তা কিন্তু নয়। তাকে যদি সেই পজিশনে খেলাতে চান, তৈরি করতে চান, তাহলে যথেষ্ট সুযোগ দিতে হবে।’
মুমিনুল সালাহউদ্দিনের অন্যতম প্রিয় ছাত্র। এবার এশিয়া কাপে মুমিনুল যেভাবে সুযোগ পেয়েছেন তা মনোঃপুত হয়নি এই কোচের। তিনি বলেন, ‘মুমিনুলের মতো ব্যাটসম্যান ফিফটি-ফিফটি সুযোগ থেকে দলে জায়গা পাবে এটা আমার ভালো লাগেনি। তার সরাসরি সুযোগ পাওয়া উচিত। তার উন্নতির অনেক জায়গা আছে। মুমিনুলের সামর্থ্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। উন্নতির জন্য কাজ করার জায়গা আছে।’ সালাহউদ্দিনের কাছে সৌম্যর সমস্যাটা টেকনিক। তিনি বলেন, ‘সৌম্যর কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা আছে। মানসিক সমস্যা নেই। সে বিশেষ কিছু বলে বারবার আউট হচ্ছে। এটা ঠিক করা কঠিন নয়।’
এদিকে ক্রিকেটে উন্নতি করার জন্য অতিরিক্ত চিন্তা হিতে বিপরীত হতে পারে বলে মনে করছেন সালাহউদ্দিন। তবে তার কাছে যদি কোনো সাধারণ ছেলেও শিখতে চান, তিনি সময় দিতে প্রস্তুত। সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমি নিজের হাতে অনেক ছেলের ক্যারিয়ার নষ্ট করছি। সেটার দায়ভার আমাকেই নিতে হবে। এ কারণে ওরা সাফল্য পেলে খুশি হওয়ার কিছু দেখি না। এ নিয়ে আমার কোনো অনুভূতি নেই।’ যুগান্তর