আভা ডেস্কঃ ময়মনসিংহের ত্রিশালে সুলতানা বেগম নামে এক নারীকে হত্যার পর দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ডোবায় ফেলে দেয়া হয়েছে। এ হত্যায় জড়িত অভিযোগে প্রেমিক সেলিম মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গত বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের কাটাখালী এলাকার ডোবা থেকে বিচ্ছিন্ন মাথাটি উদ্ধার করা হয়েছে। সুলতানা হত্যায় সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হয়ে বুধবার রাতে কাটাখালী এলাকা থেকে সেলিম মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২৭ বছর বয়সী সুলতানা বেগম রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার জুলু মিয়ার মেয়ে। চাকরির সুবাদে তিনি গাজীপুরে থাকতেন।
র্যাব-১৪ কার্যালয় বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। র্যাব জানায়, সুলতানা বেগমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে সেলিমের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। প্রায়ই তারা দেখা করতেন। সম্প্রতি সুলতানা তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সেলিম বিরক্ত হন। বিয়ের চাপ সহ্য করতে না পেরে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১ জানুয়ারি দুপুরে বিয়ে করার কথা বলে প্রেমিকাকে ত্রিশালে নিয়ে যান সেলিম। দিনভর ঘোরাঘুরির পর রাতে ধানীখোলা ইউনিয়নের কাটাখালী এলাকায় নেন। সেখানে রাতে আরও একজনের সহায়তায় ওই নারীকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর পরিচয় গোপন ও নিজেকে বাঁচাতে মাথা কেটে ডোবায় ফেলে দেন তারা।
পরদিন দুপুরে মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ত্রিশাল থানায় ওই দিন রাতে হত্যা মামলা করে পুলিশ।
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মো. রোকনুজ্জামান বলেন, মূলত মরদেহের পরিচয় গোপন করার উদ্দেশ্যে দেহ থেকে মস্তক আলাদা করে একটি ডোবায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। গোয়েন্দা তৎপরতা ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নিবিড় তদন্তে হত্যায় সেলিমের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সেলিমের দেখানো ডোবা থেকে ওই নারীর মাথা উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।