নন্দীগ্রাম থেকে আঃ রউফ উজ্জলঃ কৃষি ভান্ডার হিসেবে খ্যাত বগুড়ার নন্দীগ্রামে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উদ্যোগে গত ২৩ অক্টোবর বেলা ১১টায় নন্দীগ্রাম পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ফোকপাল, কালিকাপুর এলাকায় বাদামী গাছ ফড়িং (কারেন্ট পোকা) দমনে করণীয় এবং ব্লাস্ট (ইষধংঃ) রোগের লক্ষণ ও দমন ব্যবস্থা বিষয়ে কৃষকদের মাঝে আমন ফসল সুরক্ষায় সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন, নন্দীগ্রাম উপজেলা ২নং সদর ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ শাহারুল ইসলাম। ওই সময় তিনি আমন ফসল সুরক্ষায় কৃষকদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা মূলক উপদেশ দেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বৃষ্টি ভেজা ছুটির দিনেও দিন-রাত পরিশ্রম করে কৃষকদের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করছেন এবং বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন। ঐ সময় কৃষক আলহাজ্ব তাছির উদ্দিন, গোলাম রব্বানী, শাহ আলম, আঃ হাকিম, ইসমাইল হোসেন, সানোয়ার হোসেন, শাহাদাত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদের নিয়ে গ্র“প মিটিং করতেও দেখা গেছে।
উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহারুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, বাদামী গাছ ফড়িং ধান ফসলের একটি মারাত্মক ক্ষতিকর পোকা। অধিকাংশ কৃষকদের কাছে বাদামী গাছ ফড়িং “কারেন্ট পোকা” বা “গুণগুণি” পোকা নামে পরিচিত। সাধারণত একটি পূর্ণ বয়স্ক বাদামী গাছ ফড়িং এর রং বাদামী হয়। এ পোকা আকারে ছোট, পেট মোটা এবং লম্বায় ৩-৫ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে, সদ্য ফোটা বাচ্চাগুলো খুবই ছোট, এদের গায়ের রং সাদা বা হালকা বাদামী। তিনি আরও বলেন, নিয়মিত ধান গাছের গোড়া পর্যবেক্ষণ করতে হবে, ৪/৫ সারি পরপর বাঁশ দিয়ে ফাঁড়ি করে আলো বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। জমিতে পোকা দেখামাত্রই বালাইনাশক যেমনঃ প্লেনাম, পাইটাফ, কোটান, ইউনিটেন্ট, গ্ল্যামোর, হপারশট, নাইজিন, উলালা, রে, এগ্রিকন, পাইরাজিন প্রিমিয়ার, ইরাপিড, স্পাইক, ক্যালকুলাস ইত্যাদির যেকোনো একটি অনুমোদিত মাত্রায় লেবেল দেখে গাছের গোড়ায় দিতে হবে এবং প্রতি ১ বিঘা জমিতে ৪ ঢোল পরিমাণ পানি বিকেলে ধান গাছে ¯েপ্র করতে হবে। নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসার আদনান বাবুর নির্দেশনায় উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের ভালো ফসল ঘরে তোলার জন্য রাত দিন নানা প্রচেষ্টা এবং পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। উলেখ্য এবছর নন্দীগ্রাম উপজেলায় ১৯হাজার ১শত ১৮ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে।