বাঘা প্রতিনিধিঃ বাঘায়, নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে পুকুর খনন। এতে একদিকে কমছে আবাদি জমি অন্যদিকে নিধন হচ্ছে বৃক্ষ। আর ইট পোড়ানোর কাজে ভাটায় যাচ্ছে খড়ি। পাশাপাশি, মাটি ও খড়ি পবিহনের ফলে বিনষ্ট হচ্ছে সরকারি রাস্তা, ভয়াবহ দূষণের শিকার হচ্ছে পরিবেশ, বাড়ছে রোগ-বালাই। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মনে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ বিরাজ করলেও রহস্যজনক কারণে নির্বিকার সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, বেশি লাভের আশায় পুকুর খননের ফলে কোথাও কোথাও জমির আম গাছসহ অন্যান্য বৃক্ষও কাটা পড়ছে। ভূমি আইন উপেক্ষা করে অবাধে পুকুর খনন করায় কমে যাচ্ছে তিন ফসলী জমির পরিমাণ। পাশাপাশি মাটির চাহিদা মেটাতে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে টপ সয়েল। বিক্রি করা এ মাটি পরিবহনের ভারি ডামট্রাক ও ট্রাক্টরের চলাচলে নষ্ট হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ের গ্রামীণ পাকা রাস্তা -সড়ক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাঘা পৌরসভার নতুন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন উত্তর মিলিক বাঘা, বলিহার,চাকিপাড়া, উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়নের বার খাদিয়া, মনিগ্রাম ইউনিয়নের তুলসীপুরসহ আড়ানী,বাউসা ইউনিয়নে পুকুর খননের মহোৎসব চলছে। পুকুর খননের ফলে নিধন হচ্ছে বৃক্ষ।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাঘা উপজেলায় কৃষি জমির পরিমাণ ৩৭ হাজার ৯০৮ হেক্টর। এর মধ্যে ৫ ফসলি ১৫০ হেক্টর। ৪ ফসলি ১০০০ হেক্টও,৩ ফসলি ৫০০০ হেক্টর,২ ফসলি ৮ হাজার ৪৭৯ হেক্টর ও ১ ফসলি ১২০০ হেক্টর জমি। নীট ১৫৮২৯ নিবিড়তা ২৩৯.৪৮%। এ ছাড়া নিচুমানের জমিতে এক থেকে দুই ফসল আবাদ হয়ে থাকে। এসব জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে খনন করা হচ্ছে পুকুর। ফলে কমে যাচ্ছে ফসলি জমির পরিমাণ।
বাঘা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমিনুল ইসলাম বলেন, আমি আড়াই বিঘা জমিতে পুকুর খনন করছি লেবার দিয়ে। দশজনে যেভাবে খনন করছে,মাটি বিক্রি করছে, আমিও ঐভাবেই মাটি কেটে বিক্রি করছি। তারাই সবাই ম্যানেজ করেই পুকুর খনন করছে। আর এক পুকুর মালিক শাকিল বলেন, জমিগুলো পড়ে ছিল, তাই কিছু মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, কোন কোন এলাকায় ভেকু মেশিন আবার কোথাও শ্রমিক লাগিয়ে মাটি কেটে ও ট্রেক্টরের সাহায্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অনুমোদন ছাড়াই করা হচ্ছে এসব কাজ। জমির টপসয়েল কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মালিককে অর্থের লোভ দেখিয়ে । দিন কিংবা রাত বলে কথা নেই। পুকুর খনন চলছেই ।
স্থানীয়রা জানান,পুকুর খননে কমছে ফসলি জমির পরিমাণ। নিধন হচ্ছে বৃক্ষও। মাটি পরিবহনের ফলে রাস্তা-সড়ক নষ্টসহ হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে শস্য ভান্ডার খ্যাত উপাধি হারাবে বাঘা উপজেলা। কিন্তু প্রতিকারে প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ নেই বললেই চলে। তাদের মতে,যারা এসব কাজ করছেন তারা ক্ষমতাবান বলেই করছেন। তবে আশু প্রতিকারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি।
উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই। উপজেলার প্রশাসনিক সক্ষমতা দেওয়া হয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে। এসব বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলুন। জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) পাপিয়া সুলতানা বলেন, যারা পুকুর খনন করছে,তাদের বিরুদ্ধে জমির মালিক অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বাঘা উপজেলার বলিহার এলাকায় পাকা রাস্তা সংলগ্ন সইলেন বাবুর নাতী যুব’র ১৩ বিঘা জমিতে রাতের আধারে পুকুর খননের কাজ চলছে। পুকুরের মাটি ১০ চাকা বিশিষ্ট বড় গাড়িতে বহন করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পার্শ্ববর্তী নাটোর জেলার বিভিন্ন ইটভাটায়।
অপরদিকে আড়ানী ইউনিয়নের খোরদ্দ বাউসা এলাকায় প্রয়াত মেয়র মিজানুর রহমান মিনুর তিন ভাইয়ের অংশের পঁচিশ বিঘা জমিতে পুকুর খননের কাজ চলছে।
সোম এপ্রিল ১৮ , ২০২২
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীতে কর্মরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে র্যাব-৫ এর মতবিনিময় ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৮ এপ্রিল) রাজশাহী মহানগরীর মোল্লাপাড়া র্যাব-৫ রাজশাহী সদরদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে রাজশাহীর বিভিন্ন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, আঞ্চলিক পত্রিকার সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকদের নিয়ে এ মতবিনিময় ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে র্যাব-৫ […]
এই রকম আরও খবর
-
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৭:১২ অপরাহ্ন
-
১৯ জুন, ২০২০, ১১:২৫ অপরাহ্ন
-
৭ জানুয়ারি, ২০২২, ৫:৩৫ অপরাহ্ন
-
২৯ জুন, ২০১৮, ১:০৩ অপরাহ্ন
-
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৬:১৮ অপরাহ্ন
-
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৭:০৫ অপরাহ্ন