পুঠিয়ায় স্ত্রীকে নিতে গিয়ে স্বামী ও তার চাচাতো ভাই আটক হলো পুলিশের হাতে ।

পুঠিয়া প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়ায় এক নাবালিকা কিশোরীকে ধর্ষনের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দু’জনের মধ্যে নাদেল নামের এক কিশোর ওই কিশোরীর স্বামী অপরজন স্বামীর চাচাতো ভাই বলে জানা গেছে।

গ্রেপ্তারের পর তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে এবং ভুক্তভোগী কিশোরীকে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।

গত (৫ জানুয়ারি) রোববার রাতে উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের সাধনপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করে পুঠিয়া থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে রাতেই মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে থানায় তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।(মামলা নং ০৯-০৫/২০২০) সেই মামলায় গত (৬ জানুয়ারি) সোমবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ইমাম শাহ্ নাদেন (১৬) ও তার চাচাতো ভাই বাপ্পি (১৭)। ইমাম শাহ নাদেন জেলার বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা শরিয়ত শাহ’র ছেলে।

এজাহারের বরাত দিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাধনপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (আইসি) এস আই স্বপন কুমার জানান, মেয়েটি স্কুলে যাওয়ার পথে নাদেন তার চাচাতো ভাই বাপ্পির সহযোগীতায় ভিকটিমকে অপহরন করে। তবে তখন তারা অপহরনের মামলা বা জিডি কিছুই করেনি। এর মাস খানেক পর ভিকটিম বাড়িতে ফিরে এলে তারা ফের মেয়েটিকে বিভিন্ন ভাবে উত্যক্ত করতে থাকে। ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজন থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল জানান, সাধনপুর ও তাহেরপুর পাশাপাশি এলাকা হওয়ায় ছেলে ও মেয়ে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সম্পর্কের সুত্র ধরে মাস খানেক আগে তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর মেয়েটি বাবার বাড়ি এলে তারা মেয়েকে আটকে রাখে। ছেলেটিও মেয়েটিকে বিভিন্ন ভাবে ফিরিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে মেয়ের বাড়িতে অনশন করে। পারিবারিক ভাবে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টাও করা হয়েছে। এতে ব্যর্থ হয়ে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন চেয়ারম্যান মুকুল ।

পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রেজাউল ইসলাম মঙ্গলবার মুঠোফোনে জানান, প্রাথমিকভাবে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেলে অভিযুক্ত নাদেন ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে। আর ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রামেক হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।

স্বামী স্ত্রী সম্পর্কে তিনি বলেন, মেয়েটি নাবালিকা তাকে অপহরন করে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে করেছে বলে তার বাবা অভিযোগ করেছে। ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়ে গেলে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।

 

Next Post

স্বামী-স্ত্রী মিলে খুলেছেন ‘মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র’। দুই জনেরই নাই কোন ডিগ্রি ।

মঙ্গল জানু. ৭ , ২০২০
আভা ডেস্কঃ একজন এসএসসি পাস। আরেকজন এইচএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। আর এরপরই নামের পাশে হরেক রকম ভুয়া ডিগ্রি লাগিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেজেছেন এম ফয়েজ আহমেদ মিলন ও তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা প্রকাশ পিংকি। চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের সরকারহাট বাজারে বহুদিন ধরে রোগী দেখে আসছিলেন এই দম্পতি। তাদের গ্রামের বাড়ি […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links