বাণিজ্যিকভাবে আকরিক আহরণ কতটা সম্ভব তা নিয়ে এখনো নিশ্চিত নয় সরকারের ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর।

আভা ডেস্কঃ দিনাজপুর জেলার হিলিতে সদ্য আবিষ্কার হওয়া লোহার খনি থেকে বাণিজ্যিকভাবে আকরিক আহরণ কতটা সম্ভব তা নিয়ে এখনো নিশ্চিত নয় সরকারের ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (খনন প্রকৌশলী) মাসুদ রানা বিবিসি বাংলাকে বলেন, “আকরিক বাণিজ্যিক ভাবে উত্তোলন সম্ভব কিনা সেটা জানতে আরও ৫-৬ টা ড্রিলিং করতে হবে।”

মঙ্গলবার দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ইসবপুর গ্রামে লোহার আকরিক বা ম্যাগনেটাইটের খনি পাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় ভূ-তাত্বিক জরিপ অধিদপ্তর।

রানা বলেন, “এখন দ্বিতীয় পর্যায়ের ড্রিলিং চলছে। এছাড়া রিজার্ভের পরিমাণটা জানতে হবে, তা না হলে উত্তোলন অর্থনৈতিকভাবে সফল হবে কিনা সেটা বোঝা যাবে না।”

খনিতে মেলেনি স্বর্ণ

মিস্টার মাসুদ রানা বলেন, খনিতে লোহার আকরিকের উপস্থিতিই সবচেয়ে বেশি। এছাড়া, খুবই সামান্য পরিমাণে ক্রোমিয়াম আছে। মিলেছে নিকেল ও কপারের উপস্থিতি।

তিনি বলেন, “স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে কিছুটা ভুল তথ্য এসেছে। খনিতে স্বর্ণের কোন উপস্থিতি এখনো পাওয়া যায়নি।” কি পরিমাণ আকরিক খনিতে রয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে রানা বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে করা জিওফিজিক্যাল সার্ভে থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এখানে লোহা আকরিকের খনি থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

ইসবপুর গ্রামের ৫০ শতক জমিতে খনিজ পদার্থের সন্ধানে খনন কাজ পরিচালনা করছে ভূ-তাত্বিক জরিপ অধিদপ্তর। রানা বলেন, “যেখানে ড্রিলিং করা হচ্ছে সেখানে পুরুত্ব অনেক। তবে মজুদ জানতে আরও ড্রিলিং করতে হবে।”

কবে শুরু হবে উত্তোলন?

রানা বলেন, “যে পুরুত্বের লোহার আকরিক পাওয়া গেছে তা ৫ বর্গকিলোমিটার জুড়ে থাকতে পারে। সেটা হলে এটা বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন সম্ভব।”

“তবে এটা যেহেতু একটা জরিপ, তাই বাস্তবে কি আছে, সেটা নিশ্চিত হতেই ড্রিলিং করতে হবে।”কবে থেকে আকরিক উত্তোলন শুরু হতে পারে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, সেটা সরকারের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে।

এদিকে আকরিক উত্তোলন বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ব বিভাগের শিক্ষক মাসুমা চৌধুরী বলেন, “যেকোনো খনি থেকে আকরিক আহরণের আগে কত মজুদ আছে, সেটার আকার কত সে বিষয়ে ড্রিলিং ছাড়াও আরও কয়েক ধাপের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।””এছাড়া খনিজ আহরণের ব্যয় এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে তার চাহিদা ও দামের তুলনা করার পরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়,” তিনি বলেন।

সেদিক থেকে দেখতে গেলে এখনো প্রাথমিক অবস্থাতেই রয়েছে বাংলাদেশের লোহা খনির বর্তমান পরিস্থিতি।২০১৩ সালে হিলির মুশিদপুরে কূপ খনন করে খনিজ পদার্থের সন্ধান পায় ভূ-তাত্বিক জরিপ অধিদপ্তর। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই ৬ বছর পর চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল থেকে ইসবপুরে কূপ খনন শুরু হয়।

বিবিসি

Next Post

নিউজল্যান্ডকে ২৪২ রানের টার্গেট দিল দক্ষিন আফ্রিকা।

বুধ জুন ১৯ , ২০১৯
আভা ডেস্কঃ আগের পাঁচ ম্যাচে তিনটিতে হেরে খাঁদের কিনায় দাঁড়িয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা ।  নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান এই ম্যাচটি দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য অঘোষিত সেমিফাইনালের মতো। হারলেই বিদায় নিতে হবে। এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচেও চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃষ্টির কারণে কার্টল ওভারে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নির্ধারিত হয় ৪৯ ওভারে। নির্ধারিত […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links