পুঠিয়া প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর পুঠিয়ায় স্কুলের ভবন নির্মানে অনিয়মের প্রতিবাদ করেন বিদ্যালয়ের দপ্তরী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দপ্তরীকে মারধর করেন নির্মান শ্রমিকরা। তবে ওই দপ্তরীর লোকজনরা নির্মান শ্রমীকদেরও পাল্টা মার দিয়েছেন। এতে দপ্তরীসহ দুই’পক্ষের দুইজন আহত হয়েছেন। পরে আহত দু’জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আজ (১০ মার্চ) বুধবার সকালে উপজেলার দৈপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত বিদ্যালয়ের দপ্তরীর নাম আবদুস সালাম তিনি বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা এবং আহত নির্মান শ্রমিকের নাম সেলিম তিনি রাজশাহী মহানগরীর বাসিন্দা। তবে আবদুস সালাম হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিলেও সেলিম প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন। এ ব্যপারে উভয়পক্ষই থানায় পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
দৈপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সালাম জানান, তার বিদ্যালয়ে আনুমানিক ২ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ৪ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মান কাজ চলছে। যার প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সে কাজের দেখভাল করছেন বিদ্যালয়ের দপ্তরী আবদুস সালাম। বুধবার সকালে নির্মান কাজের শ্রমিকরা কাজে অনিয়ম করলে তিনি এর প্রতিবাদ করে কাজ বন্ধ রাখতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নির্মান শ্রমিকরা তাকে মারধর করে। পরে তার আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করে। আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
স্থানীয়রা জানান, নির্মান কাজে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় বাকবিতণ্ডের এক পর্যায়ে বিদ্যালয়ের দপ্তরী সালামকে শ্রমিকরা মারধর করে। পরে সালামের আত্মীয় স্বজনরা এসে নির্মান শ্রমিকদেরও মারধর করে। এতে দুইপক্ষের দুইজন আহত হলে দু’জনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানান, মারামারির ঘটনায় দু’জন হাসপাতালে এসেছিলো আবদুস সালাম নামের একজন ভর্তি আছেন। অপরজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। আবদুস সালামের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।
অনেক চেষ্টা করেও এব্যপারে নির্মান শ্রমিকদের কারো সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় দুই পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।