নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার একের পর এক ঘুষ ভিডিও ভাইরালের খবর এখন মুখে মুখে , দেখা যায় সরকারি খাস জলমহাল ভূয়া হোল্ডিং খুলে খাজনা আদায় , অতিরিক্ত ঘুষ আদায় নামজারীতে , অতিরিক্ত খাজনার টাকা আদায় করছে জনসাধারনের নিকট থেকে , । এত কিছু ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরও সবাই আছেন বেশ ফুরফুরো মেজাজে। কেননা প্রশাসনের সাথে মধ্যস্থতা করেই এসব বানিজ্য পরিচালনা করা হয়। কোন টেবিল কত পাবে তাও নির্ধারন করা আছে। তাই নেয়া হয়নি কারো বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা । শোকজেই শেষ।
সম্প্রতি শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মোঃ আঃ ওয়াদুদ , অফিস সহায়কের কয়েকটি ভিডিও ভেসে বেড়াচ্ছে সোস্যাল মিডিয়ায় ,ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে , সাধারন খারিজ করতে আসা লোকদের ওয়াদুদ নামের অফিস সহায়ক বলছেন,”দেখেন কানুনগোকে খরচ দিতে হবি , তারপর মুনে করেন সার্ভেয়ার খরচ লিবি , সার্ভেয়ার তদন্তে আসপি ,তদন্তে আসলে দিয়া যাবিনি ,ওইখানে ওইভাবে ক্যাশপাতি দি পার করি লিতে হবি। রাজিবের নোটিশ জারীতে ওইভাবে খরচ দিতে হবি। নায়েবের খরচ ওইভাবে দি দিতে হবি। ভুক্ত ভোগী বলছে অত কথা না বলে …….কত লাগবে এটা বলেন।
অপর ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে , খারিজ করতে আসা লোকজনকে বলছে, অনলেইনের খরচ টরস নিয়ে আসেন ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা নিয়ে আসেন। ৭ নিয়ে আসি আর ১০ নিয়ে আসি আসব । টাকা আমার ,কাজ আপনার । আপনি বুললেন ,আমি শুননু , যান ব্যাদি গেলে ,যদি আটকে যায় একটু চ্যাড়ি দিয়েন। ভাইয়ের টাকার অভাব নাই। অনলাইনের নামে হাজার হাজার টাকা ঘুষ বাণিজ্য করছেন এই অফিস সহায়ক। যা ভিডিও সহ প্রমাণ এখন প্রতিবেদকের হাতে।
আরো একটি ভিডিও তে ১ টা দলিলের খারিজ বাবদ খাজনা সহ ২০ হাজার টাকা নিয়ে আসার ভুক্তভোগীকে তাগিদ দিতে দেখা যায়,যা ঘুষ বাণিজ্য নৃত্য নিয়মের বহির প্রকাশ।
অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে , আঃ ওয়াদুদ খারিজ করতে আসা লোকজনদের নিকট থেকে ঘুষের টাকা আদায় করছেন। মোট কত টাকা দেয়া হলো তা বলছেন। তিন হাজার টাকা দিয়া হলো । তিন হাজার । আর এর ২ হাজার ।কাজ এরকম করে দিবেন ঘেটাঘেট ,টাকা নিবেন ঘেটাঘেট।
শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের এই চাকরি কিছুটা পৈতৃক সূত্রে পেয়েছেন বলে এলাকা বাসির জানায়। ঘুষখোর মোঃ আঃ ওয়াদুদ ,সে অফিস সহায়ক,তার পিতাও এই ভুমি অফিসেই চাকরি করতেন। পিতার তদবিরেই পাওয়া তার এই চাকরি। তিনি বহাল তবিয়তে প্রায় ১২ বছর থেকে একই উপজেলাতে রয়েছেন । গড়ে তুলেছেন নিজস্ব শক্ত সিন্ডিকেট। টাকা ছাড়া করেন না কোন কাজ । চাপা পড়ে নথির ফাইল।অবৈধভাবে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা । তাছাড়া তিনি মাদকাসক্ত বলেও অভিযোগ পাওয়া যায় ( ডোপটেস্ট প্রয়োজন) বলেও অনেকে দ্বাবি করেন। তার ফেন্সিডিল ,হিরোইন এর মত নেশায় জড়িতের অভিযোগ রয়েছে। তার রয়েছে মাদকাসক্ত বিশাল দালাল বাহিনী। তাদের মাধ্যমে চলায় শক্ত সিন্ডিকেট। বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে ভিডিও ভাইরাল হলেও তিনি রয়ে যান বহাল তবিয়তে । নেসা করে মাতলামি করেন অফিসে , মাতালদের নিয়ে রাত১০ টা পর্যন্ত অফিস করেন এই অফিস সহায়ক।
এলাকাবাসি বলেন পুঠিয়া উপজেলার সব ভূমি অফিসের একই চিত্র । এই উপজেলাতে দূর্ণীতি প্রতিরোধে দুদকের গণ শুনানী ,ও প্রশাসনিক জবাবদিহিতা প্রয়োজন ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওয়াদুদ দাম্ভিকতার সাথে বলেন আমার বিষয়ে অভিযোগ থাকলে আপনি ডিসি, ইউএনও স্যারদেরকে বলুন বলে ফোন কেটে দেয়।
এবিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ বসাক বলেন,আপনার মাধ্যমে ভিডিওর কথা জানতে পারলাম ভিডিও না দেখে কোন বক্তব্য দিবো না।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ না করে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।