সোহেলরানা,পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) থেকেঃ-পলাশবাড়ীতে কয়েকদিনের অবিরাম ভারী বর্ষণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বীজতলা,পুকুরের মাছ, কাঁচা তরি-তরকারির ফসল,কলার ক্ষেত,ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। । জানা গেছে, গত ৮-১০ দিনের লাগাতার অবিরাম ভারী বর্ষণের ফলে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী, হোসেনপুর, পলাশবাড়ী, বরিশাল, মহদীপুর, বেতকাপা, পবনাপুর, মনোহরপর ও হরিনাথপুর ইউনিয়নের সকল নিম্নাঞ্চল স্থান সমূহে বৃষ্টির পানি বৃদ্ধি পেয়ে রোপা আমনের ক্ষেত, বীজতলা ও গ্রামীন রাস্তা-ঘাটগুলো পানির নিচে তলিয়ে গেছে।ফলে আগামী চলমান আমন মৌসুমে আমন ধান,সবজি আশানুরুপ ফলনে বঞ্চিত হবে চাষীরা। এছাড়াও সমগ্র উপজেলার অধিকাংশ পুকুরে পানি উপছে চাষ করা মাছ বেড়িয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।মাছ চাষীরা মাছ আটকাতে জাল ব্যবহার শুরু করেছেন।এদিকে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল এলাকা সমূহের রোপা আমনের ক্ষেত,বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে উপজেলার ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার চিত্র সরেজমিন পরিদর্শন করেন,গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান,অতিরিক্ত উপ-পরিচালক শস্যা কামরুজ্জামান, পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম,উপ-সহকারী মন্জুর হাসান,শাপলা বেগম।পানি বৃদ্ধির ফলে নিম্নঞ্চল প্লাবিত হয়ে কৃষি ক্ষেতে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে পলাশবাড়ী কৃষি অধিদপ্তর জানান,রোপা আমন আংশিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমান-৬১৫ হেক্টর,সবজি ফসলি জমি ক্ষতির পরিমান-৮৫,কলা আংশিক জমির ক্ষয়ক্ষতির পরিমান-৫ হেক্টর।
অপরদিকে কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের পানি উন্নয়ন বোর্ডের করতোয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের টোংড়ারদহের বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় রাতারাতি কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের ২০ টি মৌজা তলিয়ে যাওয়ার আশংঙ্কা দেখা দিয়েছে।কৃষি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা ফসল নিয়ে দুঃচিন্তায় পড়েছে।সেই সাথে গরু-ছাগল ঘর থেকে বাহিরে বের করা দুঃস্বাধ্য হয়ে পড়েছে।দেখা দিয়েছে গো খাদ্যের চরম সংকট।