মোহনপুর প্রতিনিধিঃ মোহনপুরে সিটিসেল টাওয়ারের প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মূল্যের যন্ত্রাংশ চুরির সময় ৬ জন চোর জনতার হাতে আটক হয়। রাজশাহীর মোহনপুর থানার কেশরহাট পৌরসভা এলাকায় রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের ধারে বাকশৈল গ্রামস্থ সিটিসেল টাওয়ার হতে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা মূল্যের যন্ত্রাংশ চুরি করার সময় স্থানীয় জনতা তাদের আটক করেন ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টার দিক হতে প্রায় বেলা ১ টা পর্যন্ত ৯/১০ জন লোক এসে সিটিসেল টাওয়ারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ খুলে সেগুলো পিকআপ ভ্যানে লোড করছিল। এমন খবরের ভিত্তিতে নৈশপ্রহরী বাকশৈল গ্রামের মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে মোঃ নইমুদ্দিন (৬০) ঘটনাস্থলে এসে উক্ত ব্যক্তিদের জিজ্ঞেস করে যে, তারা কেন এই সিটিসেল টাওয়ারের যন্ত্রাংশ খুলছে। এমন প্রশ্নের উত্তরে আসামীগণ এক এক সময় এক এক ধরণের উত্তর দিচ্ছিল। তখন নইমুদ্দিন তার সেলফোন বের করে হেড অফিসে ফোন করলে তারা জানায় তারা আসলে কাউকে যন্ত্রাংশ খোলার জন্য পাঠায়নি। ঠিক তখনই তিন থেকে চারজন আসামির দ্রুত পালিয়ে যায় ঘটনাস্থল হতে। বাকি আসামিদের কে জনতার সাহায্য নিয়ে নইমুদ্দিন ধরে ফেলে এবং নিকটবর্তী মোহনপুর থানায় ফোন দেয়। ফোন পেয়ে মোহনপুর থানা পুলিশ এবং রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন দেব দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং আসামীদেরকে আটক করে মালামাল সহ থানায় নিয়ে যায়।
আটককৃত আসামিরা হল: নাটোর নলডাঙ্গা থানার দিঘীরপাড় গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে বোরহানুজ্জামান (৩৩), বগুড়া জেলার কাহালু থানার কালাই মাঝপাড়া গ্রামের মৃত মমতাজুর রহমানের ছেলে রকি (২৭), আমিনুর রহমানের ছেলে তৌফিকুর রহমান (৩২), শ্রী ঝন্টু চন্দ্র মালির ছেলে শ্রী জনি চন্দ্র মালি (২৪), মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার উত্তর জয়সিন্ধিয়া গ্রামের মৃত খবির হাওলাদারের ছেলে হারুন (২৭), নীলফামারী জেলার জলঢাকা থানার চিড়াভিজা গোলনা গ্রামের মৃত মোবারক হোসেনের ছেলে আসাদুল ইসলাম (৩৫)।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন দেব বলেন, আসামীদেরকে আজ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে এবং রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে। আসামীদেরকে রিমান্ডে এনে এই ঘটনার সাথে আর কে বা কারা জড়িত তা বের করা হবে।