পবা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর পবা উপজেলা নওহাটা পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার মেয়র প্রার্থী হাফিজুর রহমান হাফিজের বিরুদ্ধে আচারণবিধি লংঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) নওহাটায় নিজের নির্বাচনি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী আব্দুল বারী খান এমন অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বহিরাগতদের দিয়ে ভোটকেন্দ্র দখলের আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আসন্ন ১৪ ফেব্রুয়ারি নওহাটা পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে।
তিনি জানান- গত ১, ২ ও ৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে আচারণবিধি লংঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, রাজশাহী জেলা প্রশাসন, পবা নির্বাচন কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯টি কেন্দ্রে ১৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রদান প্রসঙ্গে রাজশাহী জেলা প্রশাসন, পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পবা নির্বাচন কমিশনারের কাছে অভিযোগ করা হয়। এছাড়া সাত ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে প্রিজাইডিং, সহকারি প্রিজাইডিং ও পুলিং অফিসারের তালিকা পরিবর্তনের দাবিতে রাজশাহী জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন অফিসার, নওহাটা পৌরসভা রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
৭ ফেব্রুয়ারি আচারণ বিধি লংঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে পবা উপজেলা নির্বাচন অফিসার, নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটানিং অফিসারের কাছে অভিযোগ প্রদান করা হয়।
এছাড়া গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের অব্যাহতি চেয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে তালিকা দেন-মেয়র প্রার্থী বারি। এ তালিকায় ছিলো- প্রিজাইডিং অফিসার নওহাটা উচ্চ বিদ্যালয়, গোলাম গাউস- নওহাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গোলাম মাসুদ-মদনহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাইফুল ইসলাম-বারইপাড়া তিলোত্তমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোহরাব আলী-সিন্দুরকুসুম্বি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জহিরুল আলম-দুয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাদিকুল ইসলাম-বাগসারা প্রাথমিক বিদ্যালয়।
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আব্দুল বারী খান লিখিত বক্তব্যে আরও জানান, আসন্ন ১৪ ফেব্রুয়ারি পৌর নির্বাচনেকে কেন্দ্র করে নৌকার মেয়র প্রার্থী হাফিজুর রহমান হাফিজ বিভিন্নভাবে বাঁধা প্রদান করছেন। এছাড়া বহিরাগতদের দিয়ে নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, হুমকি ও নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। যা নির্বাচনী আচারণবিধি লংঙ্ঘনের সামিল।
পৌরসভা নির্বাচনে কোন সংসদ সদস্য নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। কিন্তু স্থানীয় সাংসদ আয়েন উদ্দিন নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে প্রতিদিন অংশগ্রহণ করছেন। এছাড়া বিভিন্ন ভোটারদের কম্বলও বিতরণ করছেন।
আব্দুল বারী খান আরও জানান, তৃণমূল আওয়ামী লীগের কাছেও হাফিজের গ্রহণযোগ্যতা নেই। দলীয় নমিনেশনের আগে প্রার্থী বাছাইয়ে হাফিজ তৃণমূল নেতৃবৃন্দের একটিমাত্র ভোট পেয়েছেন। তার গ্রহণযোগ্যতা না থাকার কারণে সে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- নজরুল ইসলাম, আব্দুস সালাম, মুকুল সেন্টু প্রমুখ।
এবিষয়ে হাফিজুর রহমান হাফিজ জানান- ‘আচারণবিধি লংঙ্ঘন এমন কাজ করিনি। আমি মা-বোনদের কাছে যাচ্ছি ভোট ও দোয়া চাচ্ছি। আর সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যের বিষয়টি আমি জানি না।’